স্টাফ রির্পোটারঃ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.মিজানুর রহমান বলেছেন, সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করে ভূমি সমস্যার সমাধান করতে হবে। নয়তো একসময় আদিবাসী বলে কিছু থাকবে না। বর্তমান ভূমির আইন দিয়ে তা সম্ভব নয়। স্বাধীনতার ৪৪বছর পর আদিবাসীদেরকে ও এই দুরের ঝিমাইকে বাংলাদেশ কাছে টেনে নিতে ০৩ আগষ্ট সোমবার সন্ধ্যায় কুলাউড়া উপজেলার ঝিমাই খাসিয়া পুঞ্জিতে বৃহত্তর সিলেটের খাসি ও আদিবাসী জনগন আয়োজিত এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান আরও বলেন, স্থানীয় ঝিমাই পান পুঞ্জি ও ঝিমাই চা-বাগানের মধ্যে ভূমি লিজ নিয়ে যে বিরোধ চলে আসছে এই ব্যর্থতার দায়ভার রাষ্ট্র ও প্রশাসনের।কোনো অবস্থায় সময় বেঁধে দিয়ে আদিবাসী খাসিয়াদের তাদের জায়গা থেকে উচ্ছেদ করা যাবে না। আমরা তাদের আমাদের কাছাকাছি নিয়ে আসতে পারিনি।এখন তাদের উচ্ছেদ করা যাবে না, মানবাধিকার কমিশন তাদের পাশে থাকবে। যারা পুঞ্জিবাসীকে ১০দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন পুঞ্জির ভুমি ছেড়ে দেয়ার জন্য। আমি মনে করি এ দ্বায়ভার তাদের নিজস্ব মতামত। দীঘদিন ধরে বসবাসকারী পুঞ্জিবাসী ১০দিন কেন ১০০ দিন চলে গেলেও আদিবাসীরা যদি প্রশাসনের সেই প্রস্তাবে রাজি না হয়, তবে তাদেও ভুমি থেকে কেহ জোর করে উচ্ছেদ করতে পারবেনা।তিনি বলেন কোন কিছুর দায়ভার জনগণের উপর চাপানো যাবে না। দায়ভার আদিবাসী খাসিয়ারা নয় প্রশাসনকে নিতে হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ও কোকাস সংসদীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক মেজবাহ কামাল, কেন্দ্রীয় আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, পরিবেশ আন্দোলন বাপার সিলেট বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম, ঝিমাই চা বাগান ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন সরকার, কুবরাজের সাধারণ সম্পাদক ফ্লোরা বাবলী তালাং, খাসিয়া কাউন্সিলের চেয়ারম্যান জিডিসন সুচিয়াং, পুঞ্জিবাসীর পক্ষে কুইন বন সরং ও পুঞ্জিমন্ত্রী (হেডম্যান) রানা সুরং প্রমুখ। পুঞ্জিমন্ত্রী (হেডম্যান) রানা সুরং জানান, আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভূমি নিয়ে ঝিমাই পানপুঞ্জি এবং পাশ্ববর্তী ঝিমাই চা বাগান কর্তৃপক্ষের মধ্যে সম্প্রতি বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ বিরোধ নিরসনে প্রশাসন উভয়পক্ষকে নিয়ে কয়েক দফা উদ্যোগী হলেও ফল মেলেনি। এজন্য আতংকে রয়েছে ৭২টি খাসিয়া পরিবার। বিরোধ নিরসনে সোমবার বিকেলে বিবাদমান এলাকা পরিদর্শন করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান। অনুষ্টানে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মতিয়ার রহমান, কুলাউড়া প্রেসক্লাব সাধারন সম্পাদক মোঃ খালেদ পারভেজ বখশ, পল্লীউন্নয়ন ফাউন্ডেশন এর নিবাহী পরিচালক বদরুল হোসেন,সমাজসেবক মোঃ অানোয়ার হোসেন দুলাল ও রাজু , জাসদ নেতা অালমগীর আলম সাহান সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ারর সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।