![]() |
বৃষ্টির পানি পেয়ে মৌলভীবাজারের চা-বাগানে নতুন পাতার সমারোহ |
এম শাহবান রশীদ চৌধুরী: মৌলভীবাজার চায়ের রাজধানী নামে পরিচিত। জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত প্রচ- খরা ও অনাবৃষ্টিতে রেড স্পাইডার নামের কীটের আক্রমণে এখানকার বাগানগুলো হয়ে পড়েছিলো প্রায়মৃত। তবে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে টানা বৃষ্টিতে আবারো প্রাণ ফিরে পেয়েছে চা-গাছগুলো। যতদূর চোখ যায়, যেনো সবুজের চাদর পাতা। মুঠো মুঠো পাতা তুলে মূলত শুরু হয় চা তৈরির প্রক্রিয়াটি। প্রাথমিকভাবে সেগুলোকে কারখানায় পরিষ্কারের পর স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে প্রস্তুত করা হয় বাজারজাতের জন্য। জানা গেছে, প্রচ- খরার পর টানা বৃষ্টিপাতে বদলে গেছে মৌলভীবাজারের ৯৩টি চা বাগান। বৃষ্টির পানি পেয়ে সবকটি বাগানে এখন নতুন পাতার সমারোহ। আর চা শ্রমিকরাও দু’হাত ভরে চা-পাতা ওঠাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে, নিম্নমানের চা আমদানির কারণে এই শিল্প অনেকটা ক্ষতির মুখে পড়ছে বলে মনে করেন বাগান মালিকরা। এই বিষয়ে বাংলাদেশীয় চা-সংসদের চেয়ারম্যান জি এম শিবলী বলেন, ‘আমি আশা করি মৌলভীবাজার ডিস্ট্রিকে আমার চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবো। তাছাড়া সরকারের নিকট অনুরোধ করবো, চায়ের ইমপোর্ট ট্যাক্স যেন বাড়িয়ে দেয়া হয়। যাতে নিম্নমানের চা আমাদের দেশে আমদানি না হয়’। এম আর খান টি-স্টেটের মালিক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘চায়ের দাম ভালো না পাওয়ার কারণ হিসেবে আমরা জানতে পেরেছি, চায়ের ইমপোর্ট ট্যাক্স বর্ধিত হয়েছে, কিন্তু কিছু নিম্নমানের চা আমাদের দেশে আসছে’। মৌলভীবাজারের ৯৩টি চা বাগানে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করছেন প্রায় ৫৫ হাজার শ্রমিক। বাংলাদেশ চা-বোর্ডের হিসেব মতে, সারাদেশে ২০১৪ সালে উৎপাদন হয়েছিলো ৬ কোটি ৫৪ লাখ কেজি চা। আর এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৭ কোটি কেজি।