এম. মছব্বির আলী : মৌলভীবাজারের বড়লেখায় পূর্ব শত্র“তার জের ধরে কামাল হোসেন অরফে ছলাম নামে এক ব্যবসায়ীর উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর আহত করেছে সুফিয়ান নামক এক সন্ত্রাসী। গুরুতর আহত ঐ ব্যবসায়ী এখন সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বড়লেখা থানায় দায়ের করা এক অভিযোগ থেকে জানা যায়, বড়লেখা উপজেলার বোবারতল কড়ইছড়া গ্রামের মৃত আব্দুল লতিবের পুত্র কামাল হোসেন অরফে ছলাম বোবারতল বারঘরি চৌমুহনা বাজারে মোবাইলের দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছে। বোবারতল উত্তর ষাটঘরি গ্রামের ময়না মিয়ার পুত্র সুফিয়ান আহমদ (২৫) এর সাথে কামাল হোসেন অরফে ছলাম এর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ ও মনোমালিন্য দীর্ঘদিন থেকে চলে আসছিলো। ৮ জুলাই দিবাগত রাত প্রায় ২টার সময় কামাল হোসেন অরফে ছলাম যখন তার ঘরে ঘুমিয়েছিলো তখন পূর্ব বিরোধের আক্রোশে সুফিয়ান আহমদ ধারালো দা হাতে নিয়ে কৌশলে কামাল হোসেন ছলাম এর কক্ষে প্রবেশ করে তার বাম পায়ের হাটুর নিচে পরপর দুটি কোপ মেরে ছলামকে মারাত্মকভাবে জখম করে। কামাল হোসেন ছলাম এর আর্ত চিৎকারে তার মা আনোয়ারা বেগম ও বোন শাহানা ঘুম থেকে উঠে ছলাম এর কক্ষে গেলে সুফিয়ান আহমদ ধারালো দা হাতে নিয়ে বিরদর্পে ঘর থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা, সংগে তিন হাজার টাকা মূল্যের ১টি ম্যাগলাইট, সিম নং-০১৭২৩-৫০১৮৩২ সহ ১২ হাজার টাকা মূল্যের একটি স্যামসাং মোবাইল সেট নিয়ে চলে যায়। সুফিয়ান আহমদ এর হাতে ধারালো দা দেখে সুফিয়ানকে ছলাম এর মা-বোন কেউ আটকানোর চেষ্টা করেননি। তারা চিৎকার করতে থাকলে আশেপাশের বাড়ীর লোকজন এগিয়ে আসলে সুফিয়ান দ্রুত চলে যায়। এলাকার লোকজনের সহায়তায় ছলামকে বড়লেখা হাসপাতালে নিয়ে আসলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছলামের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। বড়লেখা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর ১১ জুলাই শনিবার বড়লেখা থানার এসআই স্বপন চন্দ্র দাস সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ১৪ জুলাই মঙ্গলবার রাতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে এসআই স্বপন চন্দ্র দাস জানান, তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে, তবে এখনো মামলা রেকর্ড হয়নি।