![]() |
| ফিরিয়ে আনা হলো পাচার হওয়া ৪৭ বাংলাদেশিকে (ফাইল ছবি) |
নিউজ ডেস্কঃ পাচার হয়ে যাওয়া ৪৭ বাংলাদেশিকে দ্বিতীয় দফায় দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় থাইল্যান্ড থেকে আসা একটি ফ্লাইটে তাদেরকে দেশে নিয়ে আসা হয়। এদের সবাই অবৈধভাবে সমুদ্র পথে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় থাইল্যান্ডে ধরা পড়েন। পরে বাংলাদেশ সরকার ও আইওএম এর সমন্বিত উদ্যোগে তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনা হলো। ভাগ্য বদলের আশায় অবৈধভাবে সমুদ্র পথে মালয়েশিয়া যাত্রা শুরু করে এসব বাংলাদেশীরা। এক শ্রেণীর দালাল চক্র প্রথমে ছোট নৌকায় ও পরে বড় নৌকায় করে এদেরকে থাইল্যান্ড সীমান্ত দিয়ে মালয়েশিয়ায় পাচার করত। পাচার হয়ে যাওয়া অনেকেই থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার জঙ্গলে অত্যাচারিত হয়ে মারা যান। অনেকে ধরা পড়েন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে। এরকম ৪৭ জন বাংলাদেশীকে যাচাই-বাছাইয়ের পর সোমবার দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। এদের সবাই থাইল্যান্ডের বিভিন্ন ক্যাম্পে আটক অবস্থায় ছিল। দেশে ফিরে আসা এসব হতভাগ্যরা জানালো তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা। মূলত দেশে কাজের অভাবই তাঁদেরকে এরকম ঝুঁকি নিতে বাধ্য করেছে বলে জানালেন তাঁরা। বলেন, 'আমাদের কোনো আয়ের উৎস নাই। আমরা গ্রামের অনেক গরীব ঘরের সন্তান। আমরা অন্যের বাড়িতে কাজ করে খাই। দালালরা আমাদের এই দুর্বলতার সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার, আইওএম এর সহযোগিতায় চিহ্নিত করার পর তাঁদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়। থাইল্যান্ডের বিভিন্ন ক্যাম্পে আটকে থাকা এরকম আরো হাজার দুয়েক বাংলাদেশী অবৈধ অভিবাসীকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে আইওএম এর পক্ষ থেকে জানানো হয়।
