![]() |
| ইতিহাসের সামনে বার্সেলোনা-জুভেন্টাস |
স্পোর্টস ডেস্কঃ ঘরোয়া ফুটবলে ইতোমধ্যে দু`দলই প্রমান করেছে নিজেদেরকে। লীগ শিরোপার পাশাপাশি কাপও নিশ্চিত করেছে তারা। এখন সময় ইতিহাস গড়ার। সময় সবচেয়ে বড় জয়ের। জিতলেই ট্রেবল জেতার বিরল সন্মান পাবেন তারা। ইতিহাসে মাত্র সাতবার এই সন্মানের কীর্তি আছে। যার একটি পেপ গার্দিওলার অধিনে বার্সা জিতেছিল ২০০৯ সালে। এবার জিতলে একমাত্র দল হিসাবে দুবার এই সন্মানের অধিকারী হবে কাতালানরা। জুভেন্টাস এই অভিজাত গ্রুপে নেই। তাই বার্লিনে তাদের সদস্য হবার আপ্রাণ চেষ্টাই করবে তুরিনরা। কোচ লুইস এনরিকে সেমিফাইনালে বন্ধু গার্দিওলাকে হারিয়ে চতুর্থ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সামনে দাঁড় করিয়েছেন। সামনে বন্ধুর মতই ইতিহাস গড়ার হাতছানি তার। ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে এনরিকে বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলে আমাদের ট্রেবল নিশ্চিত হবে এবং যা আমাদের জন্য খুবই আনন্দদায়ক। এটা ক্লাবের ইতিহাসে একবারই ঘটে এবং এ থেকে এই বোঝা যায় এটা অর্জন করা কত কঠিন।’ বার্সেলোনাকে ফেভারিট মানছেন সকল ফুটবল বোদ্ধা। কিন্তু চলতি মৌসুমে দারুণ খেলতে থাকা জুভেন্টাসও ছেঁড়ে কথা বলবে না। মূল দ্বৈরথটা হবে বার্সেলোনার আক্রমণ ভাগের সাথে জুভেন্টাসের রক্ষণের। এমনিতেই ইতালিয়ানদের রক্ষণের বেশ সুনাম রয়েছে ফুটবল বিশ্বে। যদিও জর্জিও কিয়েলিন্নির ইনজুরিতে কিছুটা দুর্বল হয়ে পরবে তুরিনদের রক্ষণভাগ। তবুও গোলকিপার জিজি বুফ্ফনে সাথে লিওনার্দো বানুচ্চির জুটিতে দারুণ লড়াই হবে বলেই ভাবছেন বোদ্ধারা। ফাইনালের পথে বার্সেলোনার দুর্দান্ত পারফর্মেন্সে ম্যানসিটি, পিএসজি, বায়ার্ন মিউনিখের মত দলগুলো বলি হয়। মেসি, নেইমার, সুয়ারেসে বার্সার আক্রমণত্রয়ী দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে। এ মৌসুমে রেকর্ড ১২০ গোল করেছেন তারা তিনজন। যেখানে জুভেন্টাস সব ধরণের প্রতিযোগিতায় গোল করেছে ১০৩টি। সেমিতে বায়ার্নের বিপক্ষে ও কোপা ডেল রের ফাইনালে একক নৈপুণ্যে দুর্দান্ত গোল করেছেন মেসি। অনেকেই বলছেন মেসি তার ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে আছেন। নেইমার, সুয়ারেসও আছেন ফর্মের তুঙ্গে। মাঝমাঠে নির্ভরযোগ্য ইনিয়েস্তার সাথে রকিটিচও ভালো খেলছেন। শেষ পর্যন্ত তাদের আটকাতে পারবে না বলেও ভাবছেন অনেকেই। জুভেন্টাস কোচ মাস্সিমিলিয়ানো আল্লেগ্রিও বলেছেন, মেসিকে রোখা অসম্ভব। বুফফন তো মেসিকে অনুরোধ করেছেন মানুষ হয়ে ফাইনাল খেলতে নামার, এলিয়েন হয়ে নয়। জুভদের হয়ে এই মৌসুমে দুর্দান্ত খেলে চলেছেন তেভেজ। তাকে ভালো সহযোগিতা করে যাচ্ছেন মোরাতা। তার গোলেই রিয়ালকে হারিয়ে ফাইনালের টিকেট পায় তুরিনরা। মাঝমাঠে পিরলো, পগবা ও ভিদালের জুটি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। বার্লিনের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কে জয়ী হয় জানতে অপেক্ষা করতে হবে শনিবার রাত পর্যন্ত। তবে ইতিহাস তুরিনদের পক্ষে। এই পর্যন্ত আটবারের মোকাবেলায় চারবার জয়ের বিপক্ষে কাতালানদের জয় মাত্র দুবার। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দু`দলেরই জয় সমান। চারবার মোকাবেলা করে দু`দলই একবার করে জয় পেয়েছে।
