![]() |
তামিম ইমরুলের সেঞ্চুরিতে খুলনা টেস্টের চতুর্থ দিন টাইগারদের |
মোহাইমিন ঈসলাম মাহিনঃ খুলনা টেস্টে চতুর্থ দিন শেষে দুই ওপেনারের শতকে শক্ত অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে বিনা উইকেটে ২৭৩ রান। অপরাজিত আছেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। তামিমের সংগ্রহ ১৩৮ রান। ১৮৩ বলে চারটি ছয় ও ১৩টি চারের সাহয্যে এ রান করেন তামিম। অপরদিকে ইমরুলের সংগ্রহ ১৩২ রান। ১৮৫ বলে তিনটি ছয় ও ১৫টি চারের সাহায্যে তার সংগ্রহ এ রান। পাকিস্তানের চেয়ে এখানো ২৩ রানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। ইনিংসের ৫৩তম ওভারের শেষ বলে জুলফিকার বাবরের বলে এক রান নিয়ে ১৫৩ বলে ১০০ রান পূর্ণ করেন ইমরুল কায়েস। এটি তার ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক। এর আগে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে শতক পূর্ণ করেন তামিম ইকবাল। ইনিংসের ৪০তম ওভারে জুনাইদ খানের দ্বিতীয় বলে চার মেরে শতক পূরণ করেন তিনি। ক্যারিয়ারের সপ্তম শতক এটি তার। আর পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম। চতুর্থদিনে তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের উদ্বোধনী জুটিতে ভালোই জবাব দিয়েছে টাইগারাবহিনী। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৩৩২ রান। জবাবে সফরকারী পাকিস্তান ৬২৮ রানে অলআউট হয়। এর আগে, খুলনা টেস্টে চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নেমে ৬২৮ রানে অলআউট হয় সফরকারী পাকিস্তান। আগের দিন ৫ উইকেট হারিয়ে ৫৩৭ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করেছিল তারা। চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে বাকি ৫টি উইকেট হারিয়ে দলীয় স্কোরে ৯১ রান যোগ করে পাকিস্তান। ফলে ৬২৮ রান তুলে অলআউট হয়ে যায় তারা। তৃতীয় দিন শেষে পাকিস্তান ১৪৮ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৫৩৭ রান সংগ্রহ করেছিল। আসাদ শফিক ৫১ আর সরফরাজ আহমেদ ৫১ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার ১ উইকেটে ২২৭ রান নিয়ে খেলা শুরু করে পাকিস্তান। আজহার আলির সঙ্গে হাফিজের আগের দিনের ১৭৭ রানের জুটিকে ২২৭ পর্যন্ত এগিয়ে নেওয়ার পর আঘাত হানেন শুভাগত হোম চৌধুরী। তার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৮৩ রান করেন আজহার। তৃতীয় উইকেটে হাফিজের সঙ্গে ৬২ রানের জুটি গড়ে ফিরে যান ইউনুস খান (৩৩)। তাইজুল ইসলামের বলে বোল্ড হন পাকিস্তানের এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হকের সঙ্গে ৬৩ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন প্রথম দ্বিশতকের স্বাদ পাওয়া মোহাম্মদ হাফিজ। আউট হওয়ার আগে এই অল-রাউন্ডার করেন ২২৪ রান। লেগ স্ট্যাম্পের বাইরের বল সুইপ করতে গিয়ে লেগ স্লিপে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচে পরিণত হন তিনি। এরপর মিসবাহ-উল-হক ৫৯ রানে তাইজুলের বলে রুবেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। দ্বিতীয় সেশনেও খুব একটা ভালো করতে পারেননি স্বাগতিক বোলাররা। প্রথম সেশনে ১০৬ রান যোগ করার পর এই সেশনে আরও ৮৮ রান সংগ্রহ করে অতিথিরা। বাংলাদেশের পক্ষে তাইজুল ৩টি ও শুভাগত ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।