![]() |
নজরদারি বাড়ানো তাগিদ; মাংসে ক্ষতিকর রাসায়নিক |
নিউজ ডেস্কঃ কেবল মাছ বা শাক-সবজি নয়। এবার মাংসের মধ্যেও ক্ষতিকর রাসায়নিক মেশানোর খবর পাওয়া গেছে। বাসি মাংস টাটকা করতে মেশানো হচ্ছে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর এক ধরণের রাসায়নিক দ্রব্য। এমন পরিস্থিতিতে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি পৌরসভার নজরদারি বাড়ানোর দাবি ভোক্তাদের। সম্প্রতি গাইবান্ধা শহরের হকার্স মার্কেটে বেশ কয়েকটি মাংসের দোকানে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে মাংস বিক্রি করার সময় দুই ব্যবসায়ীকে হাতেনাতে ধরা হয়। অতিরিক্ত লাভের আশায় বাসি মাংস টাটকা হিসেবে বিক্রি করতে কোনো কোনো ব্যবসায়ী এমন পন্থা অবলম্বন করছেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেজবাহ উদ্দিন বলেন, 'আমাদের কাছে তথ্য ছিলো যে, এরা মাংসে ভেজাল দ্রব্য অর্থাৎ রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে কালার তৈরি করে। একই সাথে এরা ওজনেও কম দেয়, যা তার স্বীকারও করেছে।' নির্ভেজাল মাংস বিক্রি নিশ্চিত করতে বাজারগুলোতে রাসায়নিক পরীক্ষার মেশিন বসানোর পাশাপাশি অসাধু ব্যবসায়ীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভোক্তারা। ভোক্তারা বলেন, যে সব জায়গায় গরু জবাই করা হয়, সেখানে যদি ভেজাল নির্ণয় করার যন্ত্র থাকে তাহলে আমরা ভেজাল থেকে বাঁচতে পারবো।' অন্যদিকে বাজারে পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের নজরদারি না থাকায় ব্যবসায়ীরা মাংসে ভেজাল মেশানোর সুযোগ পাচ্ছেন বলে অভিযোগ ক্রেতা ও বিক্রেতার। ক্রেতারা জানায়, 'মাংস বিক্রেতারা কি জবাই দিলেন তার একটি সিল দেয়া হয়। যা থেকে বোঝা যায় কোনটা কিসের মাংস- গরু, মহিষ, ভেড়া নাকি ছাগলের। অথচ সেই সিলটা কোথাও নেই।' তবে এ ব্যাপারে নজরদারই বৃদ্ধি করতে পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিলেন পৌর মেয়র শামছুল আলম। গাইবান্ধা পৌরসভা মেয়র শামছুল আলম আরো বলেন, 'স্যানিটারি ইন্সপেক্টর হচ্ছে পৌরসভার প্রাণ। সে যদি দায়িত্ব পালন না করে তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।' নতুন বাজার, হকার্স মার্কেট ও পুরাতন বাজারসহ গাইবান্ধা পৌর এলাকায় প্রায় ৪০টি মাংসের দোকান রয়েছে।