কেরানীগঞ্জে স্থানান্তরিত হচ্ছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার

কেরানীগঞ্জে স্থানান্তরিত হচ্ছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার
কেরানীগঞ্জে স্থানান্তরিত হচ্ছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার
নিউজ ডেস্কঃ নির্মাণ কাজ পুরোপুরি শেষ না হলেও চলতি বছরের জুনে কেরানীগঞ্জে স্থানান্তরিত হচ্ছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার। তবে কারা মহাপরিদর্শকের আশা, নির্মাণাধীন দেশের সবচেয়ে বড় এই কারাগারটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২০১৭'র জুনে। অন্যদিকে এ বছরের জুনে কয়েদি স্থানান্তরের পর পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের বর্তমান কারাগারটি রূপান্তরিত হবে 'কারা জাদুঘরে'। লাল দালান হিসেবে খ্যাত বন্দিদের আটক বা আবদ্ধ রাখার স্থানটির নাম-কারাগার। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে গত শতকের গোঁড়ার দিকে। নানা ঘটনা আর ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে নাজিমুদ্দিন রোডের এই কারাগারটি আর কিছুদিন পরই স্থানান্তরিত হবে কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায়। ইতোমধ্যেই নতুন কারাগারটির একাংশ কারাবন্দীদের জন্য প্রস্তুত হয়েছে। প্রায় ত্রিশ একর জায়গার উপর নির্মিত এই কারাগারটি ৮ হাজার পুরুষ ও দুইশ' নারী বন্দি ধারণ করতে পারবে। কর্তৃপক্ষের আশা ইতোমধ্যে নির্মিত কারাগারের একাংশে জুনের মধ্যেই বন্দি স্থানান্তরের কাজটি সমাপ্ত হবে। কারা মহাপরিদর্শক ব্রি. জে. সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বলেন, 'আগামী জুনের মধ্যে স্থানান্তর হতে পারবো বলে আশাবাদী। কিছু কাজ বাকী থাকলেও সেটা পরে সম্পন্ন করা হবে।' ২০০৬ সালে শুরু হওয়া দেশের সবচেয়ে বড় এ কারাগারটির নির্মাণ কাজ শেষ হবার কথা ছিলো ২০১০ এ। কিন্তু কয়েক দফা সময় পিছিয়ে বর্তমানে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২০১৭ এর জুন পর্যন্ত। কিন্তু কেন এই বিলম্ব? এমন প্রশ্ন ছিলো কারা মহাপরিদর্শকের কাছে। কারা মহাপরিদর্শক জানান, জায়গা অধিগ্রহণ করতে গিয়ে আদালতে কিছু মামলা মীমাংসা করতে হয়েছে। সেগুলো করতে গিয়ে কিছুটা সময় লেগেছে। অন্যদিকে স্থানান্তরের পর নাজিমুদ্দিন রোডের ১৭ একর জায়গা জুড়ে নির্মিত বর্তমান কারাগারটি রূপান্তরিত হবে কারা যাদুঘরে। এতে ৯ একরের মধ্যে 'বঙ্গবন্ধু ও ৪ নেতার জাদুঘর ছাড়াও বিনোদনের জন্য থাকবে একটি পার্ক। বাকি দুই একর জায়গায় কারা কল্যাণ কেন্দ্র ও ৬ একরে হবে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। কারা মহাপরিদর্শক আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছি। সেটা অনুমোদন হলে কাজ শুরু হবে। নাজিমুদ্দিন রোডের এই কারাগারটি বর্তমানে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় হওয়ায় নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনা করে ৮০র দশকে এটি স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের জুনে স্থানান্তরের মধ্য দিয়ে এই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারটি তার শত বছরেরও বেশি সময়ের দায়িত্ব থেকে মুক্তি পাচ্ছে। কে জানে হয়ত দর্শনীয় স্থান হয়ে যাবার পর এটি মানুষের অপরাধ প্রবণতাই কমিয়ে দিতে সাহায্য করবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post