নারায়ণগঞ্জে কারখানার বাসে গণধর্ষণের শিকার পোশাক শ্রমিক

নারায়ণগঞ্জে কারখানার বাসে গণধর্ষণের শিকার পোশাক শ্রমিক
নারায়ণগঞ্জে কারখানার বাসে গণধর্ষণের শিকার পোশাক শ্রমিক
নিউজ ডেস্কঃ এবার নারায়ণগঞ্জে নিজ কারখানার বাসেই গণধর্ষণের শিকার হলেন এক পোশাক শ্রমিক। লোক লজ্জার ভয়ে প্রথমে আইনের আশ্রয় না নিলেও, পরে মামলা করে পরিবারটি। এ ঘটনায় একজন গ্রেফতার হলেও বাকি অভিযুক্তরা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এদিকে, এই ঘটনার জন্য কারখানা মালিকদের গাফিলতি ও বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে দুষছেন নাগরিক কমিটির নেতারা। এই বাসটিতেই, গত ১২মে রাতে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের নিজ কর্মস্থল থেকে সোনারগাঁওয়ের বাসায় ফিরছিলেন ওই নারী শ্রমিক। একা পেয়ে, চলন্ত বাসেই তাকে ধর্ষণ করে বাসটির চালক, হেলপার ও আরও দু'জন সহযোগী। নির্যাতিত ওই নারীর অভিযোগ, সেসময় চিৎকার করলেও সহযোগিতায় কেউ এগিয়ে আসেনি। এদিকে, এ ঘটনার পর মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত ধর্ষিতার পরিবার। তাই, জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি তাদের। ধর্ষিতা বলেন, বাস থেকে নামতে চাইলে তারা আমার মুখ চেপে ধরে এবং নির্যাতন চালায়। আশেপাশে পুলিশের গাড়ি দেখতে পাই এবং আমি চিৎকার শুরু করি। এসময় কেউ এগিয়ে আসেনি। ধর্ষিতার ফুপু জানান, এ ঘটনায় হুমকির মুখে পড়েছে মেয়েটির ভবিষ্যৎ। এ ঘটনার বিচার হওয়া প্রয়োজন। কেননা এখানে আরও হাজার হাজার নারী শ্রমিক কাজ করে। তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত হেলপারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, 'ঘটনার পর নির্যাতিতের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। এছাড়া ঘটনার সাথে জড়িত হেলপারকে গ্রেফতার করি। পাশাপাশি অন্যান্য আসামিদের ধরার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ' অন্যদিকে, নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তায় কারখানা কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেন নাগরিক কমিটির এই নেতা। নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান জানান, 'বিচারহীনতার কারণে নারী নির্যাতন ও নারীদের নিরাপত্তাহীনতা বেড়ে যাবে। অপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। 'লোকলজ্জা ও আতঙ্কে, প্রথমে ঘটনাটি চেপে যায় নির্যাতিত পরিবার। কিন্তু, এলাকাবাসীর আশ্বাসে গত ১৩ মে বাসটির চালক চান মিয়া, হেলপার রুবেল, স্থানীয় সহযোগী আতিকুল ও অজ্ঞাত একজনকে আসামি করে মামলা করে তারা।

Post a Comment

Previous Post Next Post