![]() |
| ব্লগার রাজীব হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে ২১ মে |
নিউজ ডেস্কঃ ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে ২১ মে দিন নতুন তারিখ ধার্য করেছে আদালত। রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ছুটিতে থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে ২১ মে নতুন দিন ধার্য করেন ভারপ্রাপ্ত বিচারক শাহেদ নূরউদ্দিন।
রাজিব হত্যার ঘটনায় গত ১৮ মার্চ আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন রাহমানি এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাত ছাত্রসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। জসীমউদ্দিন রাহমানি ছাড়া অন্য অভিযুক্তরা হলেন- ঢাকার খিলক্ষেত চৌধুরীপাড়ার মো. ফয়সাল বিন নাঈম দীপ, ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার পোড়াপাড়া গ্রামের মো. এহসান রেজা রুম্মান, ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থানার ধলেশ্বর গ্রামের মাকসুদুল হাসান অনিক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কলেজপাড়ার নাঈম ইরাদ, চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার হারামিয়া গ্রামের নাফিজ ইমতিয়াজ, ঢাকার কলাবাগান থানার ভুতের গলির সাদমান ইয়াছির মাহমুদ ও ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া উপজেলার জয়লস্করের রেদোয়ানুল আজাদ রানা। তারা নর্থ সাউথের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের ছাত্র ছিলেন।পলাতক রানাকে রাজীব হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, জসীমউদ্দিন রাহমানির বই পড়ে এবং সরাসরি তার বয়ান ও খুতবায় অংশ নিয়ে ‘নাস্তিক ব্লগার’দের খুন করতে উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত হন আধুনিক শিক্ষার এই বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় ব্লগার রাজীব খুন হন। রাহমানিকে রাজিব হত্যাকাণ্ডে উৎসাহদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মিরপুরের বাসার সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রাজীব হায়দারকে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা ডা. নাজিম উদ্দিন ঢাকার পল্লবী থানায় একটি মামলা করেন।
