কালবৈশাখীর তাণ্ডব; খোলা আকাশের নিচে গৃহহীন মানুষ

কালবৈশাখীর তাণ্ডব; খোলা আকাশের নিচে গৃহহীন মানুষ
কালবৈশাখীর তাণ্ডব; খোলা আকাশের নিচে গৃহহীন মানুষ
নিউজ ডেস্কঃ কুষ্টিয়ায় কালবৈশাখী ঝড় আর শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জনজীবন এখনও স্বাভাবিক হয়নি। খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন গৃহহীন অনেক মানুষ। নষ্ট হয়েছে বিপুল পরিমাণ ফসলের ক্ষেত। এদিকে, প্রয়োজনীয় সহায়তার অভাবে অনেকেই মেরামত করতে পারেননি তাদের বসত-বাড়ি। গত ৬ এপ্রিল রাতে, ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় কুষ্টিয়ার ৬ উপজেলার শতাধিক গ্রাম। বিধ্বস্ত হয় শত শত ঘরবাড়ি, স্কুল-কলেজ আর মাদ্রাসা। এরপর পেরিয়ে গেছে প্রায় ৩ সপ্তাহ। কিন্তু প্রয়োজনীয় নির্মাণ সামগ্রীর অভাবে ঘরবাড়ি মেরামত করতে পারেননি অনেকে। তাই পরিবার নিয়ে খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন এসব অসহায় মানুষ। এদিকে, ঝড়ের সাথে শিলা বৃষ্টি হওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সদর, মিরপুর ও কুমারখালি উপজেলার ফসল। এ তিন উপজেলায় ৪ হাজার ১শ' ২৫ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে যায়। এ সম্পর্কে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক বলেন, 'বর্তমানে ধানের অবস্থা খুবই খারাপ। সব ধান চিটা হয়ে গেছে।' অন্যদিকে, ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে, ক্ষতিগ্রস্ত অনেক পরিবারের ভাগ্যে জোটেনি কোনো সরকারি সহায়তা। ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় এলাকাবাসী বলেন, 'ক্ষেতে ফসল নেই, বাড়িতে ঘর নেই- সব শেষ। আমরা গরিব মানুষ কষ্টে দিন যায়। সরকারিভাবেও কোনো সহযোগিতা পাইনি।' তবে, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার আশ্বাস দিলেন জেলা প্রশাসক। গৃহহীনদের সহায়তা প্রদান ছাড়াও কৃষি পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান তিনি। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন বলেন, 'এই সমস্ত লোকগুলো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সরকারিভাবে আমরা সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবো।' ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ১ হাজার হেক্টর জমির ধান চিটা হয়ে গেছে। আর মোট ৩৮ হাজার পরিবার এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post