পৃথিবীতে মহাজাগতিক রশ্মি ছড়িয়ে পড়ার গুজব!

পৃথিবীতে মহাজাগতিক রশ্মি ছড়িয়ে পড়ার গুজব!
পৃথিবীতে মহাজাগতিক রশ্মি ছড়িয়ে পড়ার গুজব!
‘আজ রাতে পৃথিবীতে ধেয়ে আসছে ক্ষতিকর উচ্চ তেজস্ক্রিয়তা সম্পন্ন কসমিক রে (মহাজাগতিক রশ্মি)। ক্ষতিকর এই রশ্মি থেকে রক্ষা পেতে রাত সাড়ে ১২টা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত আপনার মোবাইল ফোন বন্ধ রাখুন। কিংবা ফোনটি আপনার শরীর থেকে দূরে রাখুন। খবরটি বিশ্বাস না হলে গুগল, নাসা ও বিবিসি’র খবর অনুসন্ধান করে দেখুন। সংবাদটি আপনার বন্ধু-বান্ধব ও প্রিয়জনকে জানান।’ গত কয়েকদিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন তথ্য পরিবেশন করা হচ্ছে। খবরটি বিশ্বাস করে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন অনেকে। এমনকি এই তথ্য কেউ কেউ তার প্রিয়জনকে জানিয়ে সতর্কও করে দিয়েছেন। সত্যিকার অর্থে এটা নিছক গুজব। গত কয়েক বছর ধরে এই ধরণের বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে। বাস্তবে এই তথ্যর কোনো ভিত্তি নেই। ২৭ এপ্রিল রোববার থেকে একই ধরনের গুজব ফেসবুকে ছড়ানো হচ্ছে। গুজব রটানাকারীরা সিঙ্গাপুরের একটি টিভির খবরের উদ্ধৃতি দিয়ে বলছেন, ২৭ এপ্রিল রাত সাড়ে ১২টা থেকে সাড়ে তিনটা মিনিট পর্যন্ত মোবাইল ফোন বন্ধ রাখতে। বিভ্রান্তিকর এসব গুজবে কান দিয়ে আতঙ্কিত হয়েছেন অনেকেই। খবরের সত্যতা নিশ্চিতের জন্য বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে যোগাযোগ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি জানায় এই খবরের কোনো ভিত্তি নেই। এ বিষয়ে এটমিক এনার্জি রিসার্চ এস্টাবিলিশমেন্টের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘ওজন স্তর ভেদ করে কসমিক রে বা মহাজাগতিক রশ্মি সবসময়ই পৃথিবীর ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। কিন্তু ক্ষতিকর মাত্রায় নয়। মহাজগতে কোনো বিস্ফোরণ ঘটলে কসমিক রে প্রবাহের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। যেহেতু এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। সুতরাং কসমিক রে প্রবাহের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এর সঙ্গে মোবাইল ফোন বন্ধ বা খোলা রাখারও কোনো সম্পর্ক নেই।’ ইন্টারনেট ঘেঁটে নাসা বা বিবিসি’র ওয়েবসাইটে এ ধরনের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ দিয়েও বার্তাটির সত্যতা মেলেনি।

Post a Comment

Previous Post Next Post