জিয়ার সমাধি ভাঙচুর; মেরামত করা হয়েছে

জিয়ার সমাধি ভাঙচুর; মেরামত করা হয়েছে
জিয়ার সমাধি ভাঙচুর; মেরামত করা হয়েছে
নিউজ ডেস্কঃ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধি ভাঙচুরের পর তা মেরামত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে গণপূর্ত ভবনের পিডব্লিউডি`র কর্মচারী তুহিন মেরামতের কাজ করেন। এর আগে বুধবার গভীর রাতে সমাধির ১০টি টাইলস খুলে ফেলে দুর্বৃত্তরা। তবে কে বা কারা সমাধি ভাঙচুর করেছে তা বলতে পারেননি শেরে বাংলা থানার ওসি গনেশ গোপাল বিশ্বাস। সরেজমিনে দেখা গেছে, সমাধির দক্ষিণ পাশে ১০টি টাইলস এর মধ্যে ৫টি পুরোপুরি তুলে ফেলা হয়। বাকী ৫টি টাইলস অর্ধেক করে তুলে ফেলা হয়েছে। পরবর্তীতে গণপূর্ত ভবনেই এই কর্মচারী ফেভিকল ও ব্রাশ দিয়ে এগুলো পুনরায় লাগিয়ে দেন। এদিকে এই ঘটনার পর দুপুর পর্যন্ত জিয়ার সমাধিতে বিএনপির কোন নেতাকে আসতে দেখা যায়নি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সমাধির চারপাশে সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন।
এ ঘটনা সম্পর্কে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা ‘হীন মনোবৃত্তি’র অংশ। একজন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, বিচক্ষন রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম সেক্টর কমান্ডার, গণতন্ত্রকে যিনি পুনরুদ্ধার ও আধুনিকায়ণ করেছেন- এমন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সমাধির প্রতি অশ্রদ্ধা হয়েছে, এর নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এই ঘটনা কোনো দুর্বৃত্তের কাজ। সরকারকে বলবো, এদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনুন।’
জিয়াউর রহমানের সমাধি ভাঙচুরের ঘটনাকে সরকারের ‘অশুভ পরিকল্পনার’ অংশ অভিহিত করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা আহমদ আজম খান বলেন, ‘সরকার তার লোকজন দিয়ে ভাঙচুর করিয়েছে। জিয়াউর রহমানের সমাধি এখান থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য তাদের যে ঘৃণ্য, হিংস্র ও ভয়াবহ অপকৌশল রয়েছে তার অংশ হিসেবে এই ঘটনার অবতরণা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘সরকার স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির কথা বলে স্বাধীনতার ঘোষকের সমাধিতে হামলা করে। এর ঘৃণা জানানোর ভাষা নেই। সরকার একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠিত করতে আবারো দেশকে অস্থিতিশীল করার প্রয়াস চালাচ্ছে। এজন্য সম্ভব্য সব আয়োজন সম্পন্ন করছে।’ এর বিরুদ্ধে জনগণকে সোচ্চার হতে এবং প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।

Post a Comment

Previous Post Next Post