![]() |
শিশু স্কুলে যেতে না চাইলে |
রাহাত হাসনাতঃ অনেক অভিভাবকই চিন্তিত থাকেন বাচ্চার স্কুলে না যেতে চাওয়ার প্রবণতা নিয়ে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে কান্নাকাটি, পেট ব্যথা, বমি বমি লাগছে- এসব অজুহাত দেয় বাচ্চারা। স্কুলে যাওয়ার সময় পার হলেই আবার সুস্থ হয়ে ওঠে। এ ধরনের সমস্যার নাম স্কুলভীতি। এ রকম সমস্যা অনেক শিশুরই হয়। সাত থেকে শুরু করে ১৬ বছর বয়সের মধ্যে স্কুলভীতি হতে পারে। তবে সাধারণত সাড়ে সাত থেকে সাড়ে ১০ বছর বয়সের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা দেয়। প্রথম স্কুলে ভর্তির এক-দুই বছরের মধ্যে অথবা পরবর্তী সময়ে কোনো কারণে স্কুল পরিবর্তন করা হলে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শিশু স্কুলে যেতে না চাইলে করণীয়:
শিশু স্কুলে যেতে না চাইলে করণীয়:
- শিশুকে আশ্বস্ত করতে হবে। স্কুল সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা দিতে হবে।
- দীর্ঘদিন ধরে স্কুলভীতি থাকে, তবে প্রথমে স্কুল সময়ের বাইরে, যেমন বিকেলের দিকে স্কুলে ঘুরতে নিয়ে যেতে হবে। এরপর তাকে স্কুলে অবস্থান করার অভ্যাস করাতে হবে।
- শিক্ষকদের উচিত হবে বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকের মতামত শোনা ও চিকিৎসকের পরামর্শকে গুরুত্ব দেওয়া।
- অন্যদের চেয়ে তার প্রতি একটু বেশি মনোযোগ দিতে হবে।
- অযথা তাকে কোনো প্রতিযোগিতার মধ্যে ঠেলে দেওয়া যাবে না। ভালো রেজাল্ট করতেই হবে- এমন কোনো টার্গেট বেঁধে দেওয়া চলবে না।
- শিশুকে সাহস দিতে হবে এবং তাকে বোঝাতে হবে যে মা-বাবা তাকে সত্যিই ভালোবাসে। শিশুকে দৈনন্দিন রুটিন মেনে চলার অভ্যাস করাতে হবে।
- এমন কিছু করা যাবে না, যা তাকে চমকে দেয়। অযথা তাকে সারপ্রাইজ না দেওয়াই ভালো।
- স্কুলের সময় বাসায় এমন কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা উচিত নয়, যাতে সে নিজেকে বঞ্চিত মনে করে।
- শিশুর সঙ্গে রাগারাগি বা মারধর করা চলবে না; বরং স্কুলে গেলে তাকে ছোট ছোট পুরস্কার দেওয়া যেতে পারে।
- প্রয়োজনে স্কুল পরিবর্তন করতে হতে পারে।