এ কেমন গনতন্ত্র ?

এ কেমন গনতন্ত্র ? শরীফুজ্জামান চৌধুরী তপন
এ কেমন গনতন্ত্র ? শরীফুজ্জামান চৌধুরী তপন
শরীফুজ্জামান চৌধুরী তপনঃ আজ বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি শেখ হাসিনা চালু করেছেন সর্ব প্রথম ক্ষমতার মসনদে বসার তার যে প্রক্রিয়া মইন -ফকরের,মাধ্যমে ১/১১ পরবর্তী রাজনৈতিক বিভাজনে তার মূলে রয়েছে এক গভীর ষড়যন্ত্র, সূধুরপ্রসারী পরিকল্পনা এবং সে পরিকল্পনার বাস্তবায়নে শেখ হাসিনা এক চরম একদলীয় স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে চলেছেন,এই ক্ষেত্রে তার সহযোগী আইন শৃঙ্খলা বাহিনী,বাংলাদেশে তার বাবা যেমন চেয়েছিলেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন কে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত রাখতে বাকশালের মেম্বারশীপ দিয়ে ঠিক তেমনি শেখ হাসিনা আজ সেটা বাস্তবায়ন করছেন অঘোষিত ভাবে,এর বিপরীতে আজ যে বা যারা অবস্থান নিচ্ছেন তাদের কে যে কি পরিমান হয়রানি নির্যাতন নিপীড়ন করা হচ্ছে সেটা নতুন করে বলার নাই,বাংলাদেশের সংবিধানের দোহাই দিয়ে ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচন কে বৈধতা দেয়ার যে নিষ্ফল চেষ্টা করছেন শেখ হাসিনা তা কখনোই সফল হবেনা,কারণ তিনি ক্ষমতায় হয়তো গায়ের জোরে অন্যান্য স্বৈর শাসকের মতো থেকে যেতে পারেন কিন্তু এটা বলার কিম্বা প্রমান করার সুযোগ নাই যে তার শাসন বৈধ,তিনি এক অবৈধ ধারার রাজনীতির নামে স্বেচ্ছাচার প্রতিষ্টা করে চলেছেন,ইতিহাস তাকে এভাবেই মূল্যায়ন করবে তিনি যদি মনে করেন যে নশ্বর এই পৃতিবী থেকে তাকে কখনই চলে যেতে হবেনা সেটা ভিন্ন কথা,এবং চলে গেলেও এই যাওয়াটা যেন স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হয় তার বিরুদ্ধ মতের রাজনীতির অনুসারী হয়েও এটাই আমরা কামনা করি, পাহাড়সম জনপ্রিয়তা নিয়ে তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সনের ১০ই জানুয়ারী পাকিস্তান থেকে প্রত্যাবর্তন করে ছিলেন কিন্তু এটা বিশ্লেষণের অপেক্ষা রাখেনা মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় খুবই দুঃখজনক বিদায় নিতে হয়েছিলো স্বপরিবারে,বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিশেষ করে ১৯৯০ সনের পর কখোনই আমরা কেউ হত্যার রাজনীতির পুনরুত্তান কামনা করিনা,এবং এ বিষয়ে বাঙলাদেশে র গনতন্ত্রকামী মানুষের ০টলারেন্স,কিন্তু আজকে যেভাবে বিরোধী দল কে শেষ করে দেয়ার কূট কৌশলী চাল শেখ হাসিনা চালছেন তাতে আর যাই হউক আখেরে কিন্তু তাকেই এর দায় নিতে হবে,কারণ সুদিনের দুধের মাছিরা এর দায় নেবেনা,কারণ আজ এক বহু রঙের সরকারের রূপ আমরা দেখি ওরস্যালাইন যে রকম লবন চিনি সব দিয়ে তৈরী হয় তেমনি আজকের এই সরকার ও গৃহ পালিত বিরোধী দল কিন্তু একে অন্যের সহযোগী, মুখে গনতন্ত্রের কথা বললেও শেখ হাসিনা কিম্বা তার সরকারের মধ্যে বিন্দু পরিমান গনতান্ত্রিক আচরণ দৃষ্টি গোচর হয়না,খোদ প্রধানমন্ত্রী যখন হাস্য রস করেন,তখন তার অধঃস্তন যারা তারা তো বিভৎসতার উত্সবে মেতে উঠবে এটাই স্বাভাবিক,কিন্তু এই বিভৎস রাজনৈতিক সংস্কৃতি শান্তি প্রিয় জনগনের কাম্য নয়,একেক টি অঞ্চলে বিরোধী দলীয় সমর্থক দের প্রাধান্য যেখানে একটু আছে সেখানে যেন এক যুদ্ধ পরিস্তিতি তৈরী করে গুম খুন বাড়ি ঘরে হামলা নিত্য নতুন মামলা নতুবা পরিবারের সদস্যদের কে ধরে নিয়ে যাওয়া এটা কিন্তু আমাদের দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি না,কি অদ্ভুত রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব খোদ প্রধান মন্ত্রী বিজয় দিবসে ভারতীয় পতাকার আদলে শাড়ি পরেন!!! কিন্তু আপনি এর বিরুদ্ধে মতামত দিতে পারবেননা ,এই ব্রিটেনে বসে খোদ রানীর বিরুদ্ধে আপনার সমালোচনা করতে পারবেন কিন্তু বাংলাদেশের নব্য বাকশালের নেত্রীর কিম্বা তার পরিবারের কারো সমালোচনা করলে নতুন করে যে আইন এই সরকার করেছে তাহলে সমালোচনা কারীকে জেল জরিমানা দেয়ার এখতিয়ার তাদের আছে,পক্ষান্তরে বিরোধী দলের সর্বোচ্ছ নেতৃত্ব থেকে শুরু করে যাদের কেই এই সরকার থ্রেট মনে করে তাদের বিরুদ্ধে যা মুখে আসে তা কিন্তু বলে যাচ্ছে এর কিন্তু প্রতিকারের কুনো বিধান নাই,তথ্য প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ আইনে সরকারের বিরুদ্ধে মতামত রাখার কুনো সুযোগ নাই,এটা যারা করেছেন তাদের কে এর ভয়াবহতা বুজাতে হলে তাদের বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগ করতে হবে নতুবা এর ভয়াবহতা তারা বুঝবেনা, সংবাদপত্র সহ মিডিয়া বিশেষ করে টেলিভিশনে প্রচারিত নিয়ন্ত্রিত টক শো গুলিকেও যখন প্রধানমন্ত্রী অশালীন ভাষায় আক্রমন করেন তখন বুজা যায় তাদের সহনশীলতা ভিন্ন মতের প্রতি কোন লেভেলের,আপনি শেয়ার বাজারের দুর্নীতি নিয়ে কিছু লিখতে পারবেননা বলতে পারবেননা,বিডিআর ষড়যন্ত্র নিয়ে কিছু লিখতে পারবেননা,হাজার হাজার কোটি টাকা সরকারের অনুগতরা ব্যাঙ্ক থেকে লোট করে নিয়ে যাবে কিন্তু কিছু বলা যাবেনা,অপ্রোয়জনীয় দালাল মিডিয়া তৈরী করার নিমিত্বে ৪০টির অধিক টিভি লাইসেন্স দলীয় আর অনুগতদের মধ্যে বিলিয়ে দেয়া হয়েছে,এসব মিডিয়ার একটি ই এজেন্ডা বিরোধী দলের বিরুদ্ধে যাচ্ছেতাই অপপ্রচার চালানো,অবস্তা এমনি এক ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে এক সময় যারা ছাত্র লীগ,আওয়ামিলিগ করতেন তারাও এখন এই সরকারের কর্ম কান্ডে বিব্রত বোধ করলে কিম্বা নিরপেক্ষ মন্তব্য করলে নিমিষেই এদের কে রাজাকার এর তকমা দিয়ে দেয়া হয়,শহীদ মিনারে এদের লাশ পর্যনত নিয়ে যাওয়া যায়না এই হলো আজকের অগনতান্ত্রিক একদলীয় বাংলাদেশের নমুনা,এর থেকে পরিত্রানের জন্য হয়তো মানুষই রাস্তা বের করে নেবে,কিন্তু এটা যেনো গনতন্ত্রের পথেই হয় এবং মানুষ যেনো পরিবর্তনের প্রয়োজন এ সরকার কে গনতান্ত্রিক ভাবেই পরিবর্তন করতে পারে সেই ব্যবস্তা কে যতো তাড়াতাড়ি শেখ হাসিনা পুনর্বাসিত করবেন ততই তার জন্য মঙ্গলজনক হবে,কারণ বর্তমান তার শাসনে মানুষ জুলুম নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়ে প্রশ্ন করছে এ কেমন গনতন্ত্র যেখানে গনতন্ত্রের চর্চা নেই আছে স্বৈরতন্ত্রের তোষণ।

Post a Comment

Previous Post Next Post