বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শুভ সূচনা, ১০৫ রানের বিশাল জয়

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শুভ সূচনা, ১০৫ রানের বিশাল জয়
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শুভ সূচনা, ১০৫ রানের বিশাল জয়
আমিন জাহানঃ নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে ১০৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপে দুর্দান্ত সূচনা করেছে বাংলাদেশ। এদিন টাইগারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি আফগানরা।বুধবার ক্যানবেরার মানুকা ওভালে টস জিতে আগে ব্যাট করে ২৬৭ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে মাশরাফি-সাকিব-রুবেলদের বোলিং তোপে পড়ে ৪২.৫ ওভারে ১৬২ রানে ইনিংস গুটিয়ে যায় আফগানিস্তানের ইনিংস। বাংলাদেশের দেওয়া ২৬৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে আফগানিস্তান। দলীয় মাত্র ৩ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় কাতরাতে থাকেন আফগানরা। প্রথম ওভারের শেষ বলে দলীয় ২ রানে আফগান শিবিরে আঘাত হানেন বাংলাদেশের সেরা পেসার মাশরাফি। জাভেদ আহমাদিকে (১) ফিরতি ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান তিনি। এরপর চোখের পলকেই আরও ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেন আফগানরা। ইনিংসের দ্বিতীয় এবং ব্যক্তিগত প্রথম ওভারের প্রথম বলে আফসার জাজাইকে (১) এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন রুবেল হোসেন। এরপর নিজের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে আবার আফগান শিবিরে আঘাত হানেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এবার তিনি সাজঘরে ফেরান আসগার স্টানিকজাইকে (১)। এরপর চতুর্থ উইকেটে নওরোজ মঙ্গল ও সামিউল্লাহ শেনওয়ারি ৬৩ রানের জুটি গড়ে মুমূর্ষু আফগানদের কিছুটা অক্সিজেন যোগান। তবে নওরোজ মঙ্গলকে (২৭) বিদায় করে আফগানদের আবারও বিপদে ফেলেন মাহমুদউল্লাহ। তার বলে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন রুবেল। মঙ্গলের বিদায়ের পর সামিউল্লাহও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দলীয় ৭৮ রানে সাব্বির রহমানের দারুণ থ্রোতে রানআউটের শিকার হন সামিউল্লাহ। ৭৫ বলে দুটি চারের মারে ৪২ রানের ইনিংস খেলেন সামিউল্লাহ। এরপর মোহাম্মাদ নবী (৪৪) ছাড়া আফগানিস্তানের আর কোনো ব্যাটসম্যানই তেমন একটা সুবিধা করতে পারেননি। ফলে ৪২.৫ ওভারে ১৬২ রানে অলআউট হয় তারা। বাংলাদেশের পক্ষে মাশরাফি নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। সাকিব নিয়েছেন দুটি উইকেট। এ ছাড়া তাসকিন, মাহমুদউল্লাহ ও রুবেলের ঝুলিতে জমা পড়ে ১টি করে উইকেট। এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ১৬.৪ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৫২ রান জমা করে বিদায় নেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল (১৯) ও এনামুল হক (২৯)। এরপর তৃতীয় উইকেটে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে ৫০ রানের জুটি গড়েন তরুণ সৌম্য সরকার। ২৫ বলে ৩ চার ও এক ছক্কায় ২৮ রানে করে বিদায় নেন সৌম্য। তার বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। দলীয় ১১৯ রানে মাহমুদউল্লাহ ফেরেন ব্যক্তিগত ২৩ রান করে। তবে পঞ্চম উইকেটে ১১৪ রানে বিশাল এক জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। সঙ্গে দুজনই তুলে নেন দারুণ দুটি ফিফটি। দলীয় ২৩৩ রানে হামিদ হাসানের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৬৩ রান করেন সাকিব। তার ৫১ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও একটি ছক্কার মার। দলীয় ২৪১ রানে বিদায় নেন সাত নম্বরে নামা সাব্বির রহমান (৩)। দলিয় ২৪৭ রানে মুশফিক ফেরেন ৭১ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস খেলে। তার ৫৬ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও একটি ছক্কার মার। এরপর মাশরাফি বিন মর্তুজা মাত্র ৯ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ১৪ রান করে বাংলাদেশের স্কোর আড়াই’শ পার করেন। ইনিংসের শেষ বলে তাসকিন আহমেদ আউট হওয়ার আগের স্কোরবোর্ডে ২৬৭ রানের লড়াকু পুঁজি গড়ে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের হয়ে হামিদ হাসান, শাপুর জারদান, মিরওয়াইস আশরাফ ও আশরাফ আলম ২টি করে উইকেট নেন। ১টি উইকেট জমা পড়ে মোহাম্মদ নবীর ঝুলিতে।

Post a Comment

Previous Post Next Post