"বংশের বাত্তি ... ৪র্থ পর্ব" -- ডা. সাঈদ এনাম

ডা. সাঈদ এনাম: মোবাইল এর রিং টোন অফ ছিলো। হাতে নিয়ে দেখি বেশ কটা রিং তার মধ্যে একটি নাম্বার থেকে অনেক গুলো। নাম্বার টি পরিচিত। এটা একটা ক্লিনিকের নাম্বার। মফস্বলের ক্লিনিক। আমাদের মফস্বলের এই ক্লিনিক টি চলে মুলতঃ প্রসব জটিলতার রোগী আর এপেন্ডিসাইটিস রোগীর চিকিৎসা দিয়ে। খুব নাম করেছে এলাকায়। দূর দুরান্ত থেকে প্রথমেই রোগী গুলা এখানে আসে। যদিও একটু দূরে আছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিন্ত ওখানে এই ধরনের রোগী গুলা গিয়ে তেমন একটা হিট করেনা, কারন ওখানে এ সবের ট্রিটমেন্ট আপাতত হয়না। যেমন এপেন্ডিসেকটোমী বা সিজারিয়ান সেকশন। আপাতত হয়না কারন প্রয়োজনীয় লোকবল নেই, যন্ত্রপাতি নেই। সার্জন আছে তো এনেশথেসিয়া নেই। এনেশথেশিয়ার পোস্ট আছে তো এনেশথেসিস্ট নেই। কিন্ত এই ছোট ক্লিনিক'টি তে মোটামুটি এসবের ছোটখাটো একটা ব্যবস্থা আছে। এসব ইমার্জেন্সী রোগি ম্যানেজ করে ফেলে তারা। বিনিময়ে রোগী'দের মেলা টাকা গুনতে হয়। তবুও খারাপ না ভাল। তবে বদনাম আছে। ভর্তি হলেই নাকি অপারেশন মাস্ট। নট নড়ন চড়ন, নো ধুনু মুনু।

যাহোক ওখান থেকে রিং। একটু চিন্তায় পড়লাম। আত্মীয় কেউ হয়তো ভর্তি হয়েছে। অপিনিয়ন চাচ্ছে অপারেশন এ যাবে কিনা। এটা একটা স্বাভাবিক ঘটনা। অপারেশনের নাম শুনলে কিছু কিছু রোগী ভয় পায়। সত্যি ই তো, নাকি খামাখা পেট কেটে পয়সা কামানোর ধান্ধা ক্লিনিক ব্যবসায়ীদের ইত্যাদি ইত্যাদি । এ শংকা টা নিত্য নৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে এখন। এর একটা কারন, কাউন্সেলিং এর অভাব। যথাযথ কাউন্সেলিং হয়না। যা হয় তা অসম্পুর্ন। সাধারণত ক্লিনিকের নন মেডিকেল স্টাফ রা এ কাউন্সেলিং করে।

যেমন 'বাচ্চা পানিতে পড়ে গেছে এক্ষুনি সিজার করতে হবে নইলে সব শেষ, বংশে বাতি জ্বালানোর মানুষ থাকবেনা..., 'আরে ভাই কি করেন, দুটো পয়সার জন্যে মাসুম বাচ্চা কে মেরে ফেলবেন নরমাল ডেলিভারির চেষ্টা করে আল্লাহর আরশ ভেংগে বাজ পড়বে চৌদ গুষ্টির মাথায়..., 'ছি ছি কি করেন নিজের মেয়ে হলে কি তাই করতেন.....', 'আমরা বাপু এটা নরমাল ডেলিভারির জন্য ওয়েট করে পাপের ভাগী হবনা আগেই বলছি কিন্তু...., ইত্যাদি নানান ভয়ভীতি ছলচাতুরী'র কথা বলে রোগীর লোকদের কাউন্সেলিং করে। আর আগেই বলেছি এ গুলো করে ক্লিনিক গুলোর নন ডক্টর মালিক যারা সাধারণত ব্যবসায়ী বা পল্লী চিকিৎসক, অথবা রিসেপশনের স্টাফ । এসব কাউন্সেলিং এ ভয় পায় সবাই, আর কেউ সাহস করেনা দ্বিমত করার।

তবে যে সমস্ত রোগীর আত্মীয় এসব কথায় বিশ্বাস আনেন না তারাই দেখা যায় তাদের পরিচিত আত্মীয়, বন্ধু বান্ধব যারা চিকিৎসক তাদের ফোন দেন। ভাই, কি করবো বলতো। বাচ্চা নাকি পানিতে পড়ছে, এক্ষুনি সিজার লাগবে। কি করবো। প্লিজ বলনা।

একবার ইন্টার্ন লাইফে আমাকে এক বন্ধু হঠাৎ ফোন দিলো,

দোস্ত বাচ্চাতো পানিতে পড়ে গেছে কি করবো?

আমি বললাম 'পানিতে পড়ছে..
কস কি, ঝাপ দে তাড়াতাড়ি। পানি থেকে তুল, নইলে ডুবুরী বা ফায়ার ব্রিগেড ডাক তাড়াতাড়ি....

আরে দোস্ত ঐ পানিতে না। পেটের ভিতর পানি। ডেলিভারির পানি, ডেলিভারি কেইস। পানিতে পড়ছে, সিজার লাগবো। রক্ত ও লাগবো। কি করবো?

ও ডেলিভারি কেইস। কি বলবো দোস্ত আমিতো অনেক দূরে। তুই বরং ডাক্তারের সাথে কথা বল। ভয় পাস না। আর রক্ত লাগলে বলিস। ওখানে সাইদুর করে একটা ছেলে আছে। ওর বড় সড় একটা রক্ত দান ক্লাব আছে আমার কথা বলিস....

হ্যা বলবো। ডাক্তার রওয়ানা হইছে। এক ঘন্টা লাগবো। ঠিক আছে আমি তরে পরে আবার ফোন দিবো, রাখি।

ঠিক আছে রাখ। শোন বেশি অসুবিধা হলে আমাকে বলিস, আমি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই আছি। আজ নাইট ডিউটি....

ওকে দোস্ত। বলবো।

তার পর আর ফোন আসেনা। সাধারণত।আসলেও এরকম

দোস্ত সুখবর। তুই চাচা হইছস। রক্ত ও পাইছি সাইদুর সাহেব ব্যবস্থা করছেন। ধন্যবাদ তোকে।

ও আচ্ছা, তাই নাকি, কংগ্রাচুলেশনস। মিষ্টি পাওনা রইলো....

যাক গে, সকাল বেলা ক্লিনিকের এতবার ফোন দেখে আমিই ফোন দিলাম ক্লিনিকে।

হ্যালো...?

স্যার গুড মর্নিং। সরি স্যার এই সকালে ডিস্টার্ব এর জন্যে।

না বলো..

স্যার সকালে এক রোগী ভর্তি হয়েছে। অজ্ঞান। নাম পিংকি। আপনার প্রেশক্রিপশন দেখলাম ।

পিংকি...

জ্বী স্যার প্রথমা রহমান পিংকি

স্বামী নুরুজ্জামান নোমান। নিয়ে এসেছেন মিঃ মতলুব খান। ভি আই পি পেশেন্ট স্যার।

ওহ আই সি। কি অবস্থা এখন..

স্যার এখন ভালো, স্যালাইন চলছে। কথা বার্তা বলছেন। ডিউটি ডাক্তার দেখছেন। বলছেন আপাতত স্টেবল। কিন্ত রোগীরা আপনাকে আসতে বার বার অনুরোধ করছে।

ঠিক আছে, ডিউটি ডাক্তার কে দেন।

স্যার, আসসালামু আলাইকুম। আমি ডি ও ডি বলছি স্যার।

হ্যা, ওয়ালাইকুম সালাম। কি অবস্থা বলতো..

স্যার আপনার পেশেন্ট। কনভারসন ডিসোর্ডার। আনকনসাশ ছিলো। আমিই ভর্তি দিয়েছি কাউন্সেলিং করেছি। স্যালাইন চলছে, এখন স্টেবল। কথাবার্তা বলছে।
রোগী ও এটেন্ডেন্টরা আপনাকে এসপেক্ট করছে। বিশেষ করে রোগীর আত্মীয় সম্ভবত দুলাভাই, মিঃ মতলুব উনি বেশ উদ্বিগ্ন। বার বার আসছেন।

আর কেউ আছেন..

না স্যার। তবে আসতেছেন

ঠিক আছে। আসলে ওদের কে থাকতে বলো। আমি বিকেলে অফিস সেরে আসবো।

আর ওটা কনভারসন ডিসওর্ডার। ওভাবেই ম্যানেজ করো।

আমি আগে হাসপাতালে গেলাম। সকালে সরকারি হাসপাতালে রাউন্ড হয়। বিশেষজ্ঞ স্যারেরা জুনিয়র আর ইন্টার্ন দের নিয়ে সব বেডে একে একে যান। অসাধারণ সুন্দর দৃশ্য। রোগী রা চুপ হয়ে দেখে। কোন কথা বলেনা। স্যার রোগী দেখেন, পড়ান, পড়া ধরেন। এটা নিয়ম। দুই থেকে তিন ঘন্টা লাগে। রাউন্ড সেরে এক কাপ চা বিরতি হয় । এর পর পরই চলে রোগী ডিসচার্জ দেওয়া, ইনভেস্টিগেশন পাঠানো, রেফার্ড ট্রান্সফার ইত্যাদি সব কাজ। আমরা যখন ইন্টার্ন ছিলাম তখন ও ঐ ব্রেক টা পেতাম। ১৫/২০ মিনিটের অঘোষিত টি ব্র‍্যাক ।

আমি এরকম এক বিরতিতে রুমে বসে চা খাচ্ছি। এমন সময় অফিস সহকারী ঢুকলেন

স্যার একজন ভদ্রলোক আসছেন দেখা করতে

কে

চিনি না স্যার

ঠিক আছে আসতে বলো।

শুভ সকাল স্যার.....

শুভ সকাল

স্যার আমাকে চিনেছেন

নাতো

হে হে চিনবেন না স্যার...., আপনিতো আমাকে দেখেন নি। কেমনে চিনবেন। তবে আমি আপনাকে চিনি। অনেক নাম শুনেছি আপনারা, প্রথমে পিংকি ভাবী পরে আমার স্ত্রীর কাছে। আমি মিঃ মতলব খাঁ, পিংকি ভাবীর ননদের হাসবেন্ড।

এবার বুঝলাম ইনি পিংকির আত্মীয়। পিংকি আজ সকালে ভর্তি হয়েছে ক্লিনিকে। ডিউটি ডাক্তারের সাথে আলাপ হয়েছে।

লোকটা বেশ পরিপাটি। বয়স পঞ্চাশ এর কাছাকাছি হবে । সাদা সাফারি, মাথায় সাদা ক্যাপ। লাইট ব্রাউন কালারের একটা রেবন শেইপ চশমা। তবে চশমাটির ফ্রেম সাদা আর কমদামী প্লাস্টিকের। ইদানীং এসব চশমা উঠতি বয়সের ছেলেরা বেশ পরে সাথে লাল প্যান্ট, সবুজ টি শার্ট, জুতোটাও আবার সাদা। অদ্ভুত সুন্দর।

কিন্তু লোকটি কে তেমন মানাচ্ছে না। চেহারা আর হাসির মধ্যে একটু "ঘুষ খাই ঘুষ খাই" ভাব। এসব ড্রেস সাধারণত হিন্দী ছবির ভিলেন রা পরে। বাংলা ছবিতে অবশ্য এই ড্রেস এ নায়ক দের দেখা যায়। মাঝে মধ্যে শাকিব খান এই পোশাকে অভিনয় করে। বাংলার ভিলেন রা পরে টুপি পাঞ্জাবি কিংবা ধুতি। হাতে থাকে তসবিহ বা ত্রিশূল, সামাজিক প্রেক্ষাপটে যা বেমানান। তবুও সিনেমা পরিচালকরা এটা করেন। কেন করেন জানিনা। তাদের ধারনা যারা ধর্ম কর্ম করে তারা খারাপ লোক। অথচ বিষয় টি একেবারেই উল্টো। হিন্দু মুসলিম যাই হোক ধর্মপ্রাণ মানুষেরা অত্যন্ত ভালো। এটা আমার ব্যক্তিগত অবসারভেশন।

যাক গে ভদ্রলোক ক্যাপ আর সান গ্লাস খুলে টেবিলে রাখলেন।

তা কি মনে করে..

জ্বি স্যার। পিংকি ভাবী কে নিয়ে সকালে এসেছিলাম। উনি আজ সকালে হঠাৎ করে পড়ে গেলেন।

এমনি এমনি পড়ে গেলো.. .

ঠিক তা না স্যার। খুব সকালে ও বারান্দায় গুনগুন করে গান গাচ্ছিলো। এ মনিহার আমায় নাহি সাজে....এতে আমার ঘুম ভেংগে যায়। আমি ওকে চমকে দিতে পিছন দিক থেকে চোখে ধরি। বলি "বলতো শ্যালিকা কাম ভাবী, আমি কে"। ভাবলাম মন খারাপ, টুক টাক রংঢং করি মন ভালো থাকবে। কিন্তু ওমা। ও হাত ঝাড়া দিয়ে যেমনি দেখলো আমি, ওমনি "ওমাগো" বলে পড়ে গিয়ে অজ্ঞান। আমি সাথে সাথে কোলে নিয়ে ছুট দেই ক্লিনিকে"।

আপনি তার সাথে ঢং করতে গেলেন

জ্বি স্যার, বাচ্চা মানুষ তো। তাছাড়া এখন ওর যা অবস্থা তাতে তার পাশে কাউকেতো দাড়ানো উচিৎ। স্যার কি বলেন আপনি।

হুম...কি করেন আপনি...

আমি, হে হে হে কিছুনা। আমি আসলে ও ঘরের 'ঘরজামাই'। তেমন কিছু করিনা। কেবল ঘর পাহারা দেই। বাজার করি। শাশুড়ি আম্মা আর পিংকি ভাবি কে কিচেন রুমে রাঁধতে সাহায্য করাই আমার মূল কাজ। আমরা আসলে বংশানুক্রমিক ঘর জামাই। আমার বাবা ঘরজামাই ছিলেন তার বাবাও...

ভেরী ইন্টারেস্টিং তো...

জ্বি স্যার। ইন্টারেস্টিং। সবার চাহিদা থাকে সুন্দর বউ বা হবু বউ এর সুন্দর বেতনের চাকুরি, অথবা বড়লোকের মেয়ে, কিন্ত আমার বিয়ের সময় চাহিদা ছিল আমি সুন্দর একটা ঘরের ঘর জামাই হবো। ঘটক কে এরকম আগে থেকে বলা ছিলো। জানেন বিয়ের সময় আমাকে সবাই দেখতে এসেছিলো। আমার ভাইবা খুব ভালো হয়। কেউ বলেছিলো এই ছেলে একটু হাসোতো, একটু হাটোতো, কেউ বলেছিলো দেখি বাবা তোমার হাত, পা, নখ। অনেক অনেক কিছু। সব শেষে আমার শাশুড়ি আম্মা সাধারণ জ্ঞান জানতে আমায় জিজ্ঞেস করেছিলেন,
"বলতো বাবা বাংলাদেশের রাজধানীর নাম কি"। আমি বললাম ঢাকা। তিনি বললেন জোরে বলো। আমি ভারী গলায় সংবাদ পাঠক দের মতো বললাম ঢাকা। তিনি খুশি হয়েছিলেন।আসলে তিনি আমার গলার স্বর শুনতে ছেয়েছিলেন, সাধারণ জ্ঞান না। তার ধারণা সুন্দরী ছেলেদের গলার স্বর চিকন হয়। অদ্ভুত মহিলা। আমি সব দেখিয়েছি সব উত্তর দিয়েছি লাজুক ভংগিতে হেসে খেলে। একটুও রাগ করিনি। আমাকে তাদের খুব পছন্দ হয়। ভেরি ইন্টারেস্টিং না।

তা ইন্টারেস্টিং বটে...

তার সাথে আমার কথা বলতে ইচ্ছে করছিল। কিন্তু সময় নেই একেবারে। তাছাড়া এটা অফিস।

আমি বললাম আপনি বেশ মজার মানুষ। আপনি বিকেলে ক্লিনিকে থাকবেন। আরো যারা আসবেন সবাইকে থাকতে বলবেন। পিংকির ব্যাপারে আমি সবার সাথে খোলা মেলা কথা বলবো। আর যেহেতু ভোর বেলা ও আপনাকে দেখে ভয় পেয়েছে ভালো হবে আপাতত আপনি তার থেকে একটু দূরে দূরে থাকবেন

দূরে দূরে থাকবো?

হ্যা দূরে দূরে...

কিন্তু আমার'তো মনে হয় ও আমাকে বেশ পছন্দ করে, আমার উপর ডিপেন্ড করতে চাচ্ছে।

না। মোটেও তা নয়। সে এখন সবাইকে মেনে নিচ্ছে। খুব সাধারণ ভাবে। যা সে বিয়ের পর পারেনি। কিন্তু এখন পারছে।
এটাকে সাইকিয়াট্রির ভাষায় ব্যাখ্যা করা যায়। একে বলে "স্টকহোম সিনড্রোম"।

"স্টকহোম সিনড্রোম"? এটা কি স্যার
হোমে স্টক হয়ে থাকলে হয় বুঝি?

না। সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে একটা ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওটা থেকে তার নাম হয় স্টকহোম সিনড্রোম। হাওএভার এটা আপনি বুঝবেন না...

স্যার বলেন বুঝবো

না বুঝবেন না তবে আপনি বুদ্ধিমান। কিছু এক্সামপল দিই। অনুমান করে বের করতে পারবেন।

কি এক্সামপল?

দেখবেন খাঁচার পাখি এক সময় খাঁচা খুলে দিলেও যায় না, গৃহকর্ত্রী দের অমানুষিক নির্যাতনের পর ও ঘরের কাজের মেয়েরা তেমন কোন অভিযোগ করেনা, স্বামীগৃহে শত নির্যাতন সত্ত্বেও মেয়েরা তাদের স্বামীর বিরুদ্ধে তেমন বদনাম করেনা। জানেন কেনো এগুলো হয়। এর সব যে মানিয়ে নেয় তা কিন্তু না। এসবের কিছু কিছু হয় স্টকহোম সিনড্রোম এর প্রভাবে। আমার ধারনা পিংকির উপর কিছুটা স্টকহোম সিনড্রোম কাজ করছে। যাক গে, সবাই কে বিকেলে থাকতে বলবেন। আমি ওখানেই সব বুঝিয়ে বলবো, এডভাইজ দিবো। বেস্ট অব লাক।
.....

(চলবে)

লেখক: ডা. সাঈদ এনাম । এম.বি.বি.এস (ডি এম সি) এম ফিল (সাইকিয়াট্রি) সাইকিয়াট্রিস্ট ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। 


৩য় পর্ব পড়তে লিঙ্কে ক্লিক করুনঃ   ৩য় পর্ব লিঙ্ক

Post a Comment

Previous Post Next Post