স্টাফ রিপোর্টার: কুলাউড়ায় স্কুল ছাত্রী নাফিসা জান্নাত আনজুম হত্যায় মূল ঘাতক প্রতিবেশী মো: জুনেল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধর্ষনে ব্যর্থ হয়ে হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে ঘাতক।
সোমবার ১৬ জুন দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ সুপার এম,কে,এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ঘটনার পর স্থানীয় লোকদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের বিশেষ ৬টি টিম গঠন করা হয়। রহস্য উদঘাটনে এলাকায় অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জুনেলকে হত্যার সাথে জড়িত থাকার তথ্যপায় পুলিশ। পরে জুনেলকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করলে পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করে। ঘাতক পুলিশের কাছে আরও স্বীকার করে, নাফিসা ১২ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাশের গ্রামে প্রাইভেট পড়া শেষে ঘাতকের বাড়ীর সামনের রাস্তা দিয়ে ফেরার পথে পিছু নেয় ঘাতক জুনেল। এক পর্যায়ে জড়িয়ে ধরে ঘাতক রাস্তা থেকে নির্জন জঙ্গলের ভেতর নাফিসাকে নিয়ে যায় এবং ধর্ষনের চেষ্টা করে। নাফিসা চিৎকার করলে তাকে গলায় চেপে ধরে হত্যা করে ঝোপে ফেলে রাখে জুনেল।
জুনেল মিয়ার মোবাইল চেক করে পর্ন সাইটে ব্রাউজিং এর তথ্য দেখে সন্দেহ আরও বাড়ে পুলিশের। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঘটনাস্থলের পাশে একটি ঝোপ থেকে ভিকটিমের স্কুল ব্যাগ, বই এবং একটি জুতা উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, দুই দিন পর ১৪ জুন বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে বাড়ির ছড়ার পাশে দূর্গন্ধ পেয়ে নিহতের ভাই ও মামা অর্ধগলিত মরদেহটি খুঁজে পান এবং পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে লাশের সুরতহাল প্রস্তুত করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) নোবেল চাকমা, কুলাউড়া সার্কেলের (অতিঃ দায়িত্বে) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আজমল হোসেন, কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ গোলম আপসার, পুলিশ পুরিদর্শক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যসহ একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।