আশরাফুল ইসলাম জুয়েল: প্রকৃতির নিজস্ব ভাষায় গ্রীষ্ম জানিয়ে দেয় তার আগমন। বৈশাখ মাসের শেষপ্রান্তে এসে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার রোদের ঝলকানি আর হঠাৎ ঝড়বৃষ্টির মাঝেও প্রকৃতি যেন নতুন করে সাজছে কৃষ্ণচূড়ার অপরূপ রঙে।
কুলাউড়া, মৌলভীবাজার, জুড়ি, গাজিপুর সড়ক ধরে হেঁটে গেলে চোখে পড়ে সারিবদ্ধ কৃষ্ণচূড়ার গাছ। তাদের সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিয়ে থাকা টকটকে লাল ফুল যেন দূর থেকে আগুনের শিখা জ্বলে উঠেছে বলে মনে হয়। চা-বাগানের সবুজের মাঝে এই লাল রং যেন এক অপূর্ব বৈচিত্র্য এনেছে।
শুধু কুলাউড়া নয় মৌলভীবাজার সদরসহ সব পথেই এখন কৃষ্ণচূড়া আর সোনালুর দৃষ্টিনন্দন সমারোহ। স্কুল, কলেজ, হাটবাজার, অফিস চত্বর সব খানেই এই ফুলের উপস্থিতি যেন গ্রীষ্মকে করে তুলেছে রঙিন ও স্নিগ্ধ।
ভ্রমণ পিয়াসীরা " বলেন, “চায়ের রাজধানী মৌলভীবাজার যেন এখন কৃষ্ণচূড়ার রাজধানীতে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি গাছ ফুলে ফুলে ভরে আছে এমন দৃশ্য চোখ জুড়ায়, মন ভরে যায়।”
দর্শনার্থী অনুরাধা করের ভাষায়, “শুধু কৃষ্ণচূড়া নয়, রাধাচূড়া, জারুল, সোনালু সব মিলিয়ে যেন প্রকৃতি প্যালেট হাতে এক শিল্পীর মতো রাস্তাকে সাজিয়ে তুলেছে।”
এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ অনেকেই বলেন, “এগুলো শুধু ফুল নয়, আমাদের জীবনের অংশ। রাস্তার ধারে কৃষ্ণচূড়া গাছ লাগানোর উদ্যোগ হলে এই সৌন্দর্য আরও বিস্তৃত হবে।”
সাংবাদিক ও প্রকৃতিপ্রেমী নাজমুল ইসলাম বলেন, “বাংলা সাহিত্যে কৃষ্ণচূড়ার রূপ যেমন বারবার উঠে এসেছে, তেমনি বাস্তবেও এর উজ্জ্বলতা যে কারো মন কাড়বে। মনে হবে, গাছজুড়ে জ্বলছে একরাশ লাল শিখা।”