কুলাউড়ার উসমান হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার



নিউজ ডেস্কঃ কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের আমুলী পানপুঞ্জি থেকে অজ্ঞাত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে মৃতদেহের পরিচয় শনাক্ত করে মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মৃতদেহ মংনাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার মর্গে পাঠায় পুলিশ।

নিহত ব্যক্তি কর্মধা ইউনিয়নের নুনা টিলাবাড়ী গ্রামের হায়দর আলীর ছেলে উসমান আলী (৫৩)। মৃতদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছিল উসমানকে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। এমন ধারণা থেকে পুলিশ ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে পুলিশ।

উসমানের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ এপ্রিল সারাদিন ধরে উসমান আলী নিখোঁজ ছিল। ১৬ এপ্রিল রাতে উসমানের মৃতদেহ উদ্ধারের পর ১৭ এপ্রিল নিহতের স্ত্রী রোজিনা বেগম বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় এজাহার দায়ের করেন। দায়েরকৃত এজাহারের ভিত্তিতে হত্যা মামলা নেয় কুলাউড়া থানা পুলিশ। মামলা নং-১৯, তারিখঃ ১৭/০৪/২০২৩, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড।

মামলাটি তদন্তের মাধ্যমে গত ৩০ এপ্রিল কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আব্দুছ ছালেক এর নেতৃত্বে এসআই আনোয়ার হোসেন, এএসআই নুরু মিয়া, এএসআই আরিফুল ইসলাম-২ অভিযান চালিয়ে উসমান হত্যা মামলার প্রধান আসামি সবুজ (৩৫) কে কুলাউড়া উপজেলার গাজিপুর চা বাগান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সবুজ উপজেলার রাংগীছড়া গ্রামের  আবুল হোসেন এর ছেলে। কুলাউড়া থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ এপ্রিল রাতে উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের অন্তর্গত ৯ নং ওয়ার্ডের আমুলী পান পুঞ্জির আলাউদ্দিন গংদের জুম পাহাড়ের নিচে ঝোপ থেকে অজ্ঞাত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

কুলাউড়া থানার এসআই আনোয়ার হোসেন স্থানীয়দের উপস্থিতিতে মৃতদেহের পরিচয় শনাক্ত ও সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়না তেেদন্তর জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post