মৌলভীবাজার জেলার বিদায়ী জেলা প্রশাসককে নাগরিক সংবর্ধনা



স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজার জেলার বিদায়ী জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানকে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। মৌলভীবাজার পৌরসভার উদ্যোগে পৌর জনমিল কেন্দ্রে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

বুধবার ২২ মার্চ দুপুরে পৌর মেয়র আলহাজ্ব মোঃ ফজলুর রহমান এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সংবর্ধিত ব্যক্তি জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন মাসুদ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল হক, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো: মহসীন, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিষ দেবনাথ, মৌলভীবাজার টাউন কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি মাওলানা সামছুল ইসলাম, কমলগঞ্জ পৌর সভার মেয়র জুয়েল আহমদ, সৈয়দ শাহ মোস্থফা কলেজের অধ্যক্ষ মুশফিকুর রহমান ইকবাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহাব চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মুহিত টুটু, সিনিয়র সাংবাদিক ও মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম উমেদ আলী, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অপুর্ব কান্তি ধর, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক মিন্টু,সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক ভিপি কবি আব্দুল মতিন, সম্মিলিত সামাজিক উন্নয়ন পরিষদ মৌলভীবাজার এর সভাপতি খালেদ চৌধুরী, পৌর কাউন্সিলার আসাদ হোসেন মক্কু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাজমুল হক, জেলা পরিষদ সদস্য হাসান আহমদ জাবেদ প্রমুখ।

বিদায়ী জেলা প্রশাসক আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন চায়ের এই রাজ্যের দু’টিপাতা একটি কুঁড়ির মতো এজেলার মানুষের হ্রদয় কমল,আন্তরিক ও উদার। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন আমি কোভিড-১৯ এর দূর্যোগকালে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলাম। ওই কঠিন সময়ে সহকর্মীদের সাথেও নিরাপদ দূরত্ববজায় রেখে কাজ করতে হয়েছে।

কোভিড-১৯, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন, দূর্গাপূঁজা, বন্যাসহ দূর্যোগকালীন কাজের সময় সবাইকে কাছে পেয়েছি। সাথে পেয়েছি। আমার কর্মকালে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা পেয়েছি।

সেজন্য জেলারবাসীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমি যতদিন বেঁচে থাকব,যেখানেই থাকব আপনাদের কাছ থেকে পাওয়া এই মধুর স্মৃতিগুলো স্মরণ রাখব। প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা কর্মচারীরা একজায়গায় মন চাইলেও থাকার সুযোগ নেই। সে জন্য অন্যত্র যাচ্ছি। যেখানেই যাচ্ছি আমি আপনাদের ভালোবাসা ও দোয়া নিয়ে যাচ্ছি এটাই চাকুরী জীবনে আমার বড়প্রাপ্তি ও অর্জন।

পরে পৌরসভার পক্ষথেকে পৌরসভার মেয়র,কাউন্সিলর ও অতিথিরা তামা ও স্বর্ণখচিত দুটি পাতা একটি কুঁড়ির সিম্বলিক ক্রেষ্ট ও নানা উপহার সামগ্রী তোলে দেন। এরপর পাতাকুঁড়ির দেশ পত্রিকাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান,সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেষ্ট ও উপহার তোলে দেওয়া হয়। নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা শহরে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে পৌরসভার পক্ষ থেকে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post