নিউজ ডেস্কঃ মৌলভীবাজার পৌর এলাকায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমের জটিল প্রক্রিয়াকে সহজ করে নাগরিকদের প্রাপ্য সেবাটি পৌঁছে দেয়ায় পৌর মেয়র ফজলুর রহমান পুরষ্কৃত হয়েছেন।
১৬ অক্টোবর রোববার মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মোঃ ফজরুল রহমানের হাতে সনদ ও সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামসহ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পৌর নাগরিকদের জন্মের ৪৫ দিনের ভেতরে জন্ম নিবন্ধন সেবাটি গ্রহণের জন্য নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করছেন তিনি। পৌর নাগরিকদের মৃত্যু হলেও শোকবার্তা নিয়ে মেয়র নিজেই উপস্থিত হচ্ছেন বা তার পক্ষে কাউন্সিলররা থাকছেন। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবাটি নাগরিকদের দোরগোড়ায় সহজে পৌঁছে দিতে সভা, উঠান বৈঠক, বাড়ি বাড়ি গিয়ে লিফলেট বিতরণ, মাইকিং, সবর্ত্রই প্রচারণা, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে সহয়তা নিতে কর্মকৌশল নির্ধারণে একাধিক বৈঠক করছেন। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে আরও গতিশীলতা আনতে পৌরসভায় এই বিভাগে দক্ষ লোকবল নিয়োগ, কক্ষের আয়তন সম্প্রসারণ, কম্পিউটার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি বৃদ্ধিসহ ঢেলে সাজিয়েছেন পৌরসভার এই বিভাগকে। এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ফলে সেবা প্রদানের জটিল এই প্রক্রিয়াটি পৌর নাগরিকরা সহজ ও দুর্ভোগ ছাড়াই এখন গ্রহণ করতে পারছেন। এমন কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় পর্যায়ে দেশসেরা পুরস্কার পাচ্ছেন মৌলভীবাজার পৌরসভার দুইবারের নির্বাচিত মেয়র আলহাজ মোঃ ফজলুর রহমান।
জানা যায়, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম দক্ষতার সঙ্গে সম্পাদনের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় পর্যায়ে দেশসেরা মনোনীত হয়েছেন তিনি। এরইসঙ্গে একই বিষয়ে মৌলভীবাজারের স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক মল্লিকা দে শ্রেষ্ঠ উপ-পরিচালকও পুরষ্কার পেয়েছেন।
১৬ অক্টোবর জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে ওইদিন সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই অনুষ্ঠানেই জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে অবদানের জন্য বিশেষ স্বীকৃতির পুরস্কার দেয়ার কথা রয়েছে।
পুরস্কারের জন্য সারা দেশে ১০ জনকে সম্মাননা দেয়া হয়। এরমধ্যে রয়েছেন স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক সাতজন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দুইজন ও মেয়র একজন। মনোনীত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে সম্মাননা সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হবে। রেজিস্ট্রার জেনারেল ও অতিরিক্ত সচিব মোঃ রাশেদুল হাসান গেল ১১ই অক্টোবর এ বিষয়ে একটি নির্দেশনাপত্রে স্বাক্ষর করেছেন।
এ বিষয়ে মেয়র ফজলুর রহমান বলেন, ‘জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন’ প্রক্রিয়াটি জটিল ছিল। মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। এখন এর বেশ সফলতাও পাচ্ছি। এ কাজে আমার পৌরসভার কাউন্সিলারগন, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্তরিকতার কোনো কমতি ছিলনা। সকলের প্রচেষ্টায় এখন সেবাগ্রহীতা পৌর নাগরিকরা সন্তুষ্ট হচ্ছেন। এই পুরস্কারটি আমাদেরকে এই কাজসহ সেবামূলক অন্যান্য কাজে আরও অনুপ্রাণিত করবে।