কুলাউড়ায় শিশু অপহরণ; আড়াইমাস পর আসামীর আত্মসমর্পন



স্টাফ রিপোর্টার: কুলাউড়া উপজেলার কৌলা এলাকায় একটি ঘরের সিঁদ কেটে ৩ বছরের শিশু মাহিন অপহরণের ঘটনার প্রায় আড়াইমাস পর মামলার মূল আসামী মাজেদ আহমেদ মজনু আদালতে আত্মসমর্পন করেছেন। মজনুকে জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার রহস্য উন্মোচন ও ঘটনার সাথে জড়িতদের খুঁজতে রিমান্ডের আবেদন করবে পুলিশ।

উল্লেখ্য যে, ১০ মে রাত তিনটার দিকে উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের কৌলা গ্রামে শিশু মাহিন অপহরণ হয়। এ ঘটনার ২০ ঘন্টা পর শিশু মাহিনকে পুলিশ উদ্ধার করলেও মামলার মূল আসামী জুড়ি উপজেলার উত্তর সাগরনাল গ্রামের বাসিন্দা মাজেদ আহমেদ মজনু দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন।দীর্ঘ আড়াইমাস পলাতক থাকার পর ২৮ জুলাই মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৫নং আমলী আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন চাইলে আদালত আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এদিকে এ ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য আসামী মজনুকে জামিন না দিয়ে পুলিশ রিমান্ডের জন্য দাবি জানিয়েছেন অপহৃত শিশু মাহিনের মা লিজা আক্তার। জানা যায়, কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের কৌলা গ্রামের আকবর মিয়ার মেয়ে লিজা আক্তারের বিয়ে হয় একই উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের বাগৃহাল গ্রামের দুবাই প্রবাসী মর্তুজ মিয়ার সাথে। মর্তুজ মিয়া দুবাই চলে গেলে তার স্ত্রী লিজা আক্তার কৌলায় বাবার বাড়িতে দুই বছর ধরে ছোট ছেলে মাহিনকে বসবাস করছেন। ১২ মে রাতে ওই বাড়ির বসতঘরে সিঁদকেটে শিশু মাহিনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় বাড়ির লোকজন টের পেয়ে চিৎকার চেঁচামেচিও করেন। পরে ঘরের বাহিরে একজনের পায়ের একটি জুুতো পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে রাতেই কুলাউড়া থানায় মাজেদ আহমেদ মজনুকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং- জি,আর ১০০/২০২২। ঘটনার পরের দিন ১৩ মে রাতে কুলাউড়া থানা পুলিশ জুড়ির কাপনা পাহাড় এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় অপহৃত শিশু মাহিনের পরিবারের নিকট আত্মীয় মামলার মূল আসামী মাজেদ আহমেদ মজনু পলাতক ছিলেন।

শিশু মাহিনের মা লিজা আক্তার বলেন, মজনু ঘটনার দিন আমার ছেলেকে অপহরণ করে এবং পরবর্তীতে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। লিজা বেগম আরও বলেন আসামী মজনুকে পুলিশ রিমান্ডে এনে ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও ন্যায় বিচারের দাবী জানাই। মজনুর ফাঁসি দাবী করেছেন এবং তাকে জামিন না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। জামিনে বেরিয়ে আসলে তাদের ক্ষতিসাধন করতে পারে বলে আতংকে আছেন তিনি। ঘটনার সাথে জড়িত কারা কারা রয়েছেন তার রহস্য উন্মোচন করার জন্য পুলিশের প্রতি মজনুকে রিমান্ডের আকুল আবেদন জানান।

কুলাউড়া থানার এসআই হাবিবুর রহমান বলেন, অপহৃত শিশু মাহিনের ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য আসামীকে পুলিশ রিমান্ডের জন্য আবেদন করব আদালতে।

Post a Comment

Previous Post Next Post