সামাজিক বনায়নের ৫ শতাধিক চারাগাছ বিনষ্টের অভিযোগ



নিউজ  ডেস্কঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ফানাই নদীর তীরে সামাজিক বনায়নের আওতায় সৃজিত ১ বছরের প্রায় ৫শতাধিক চারা গাছ দুষ্কৃতিকারী কর্তৃক বিনষ্টের অভিযোগ ওঠেছে। উপজেলার ফানাই নদীর দক্ষিণ তীরে রাউৎগাওয়ের তিলাশীজুরা হতে ভবানীপুর অংশে প্রায় ৫ শতাধিক ভেঙে ফেলা হয় সম্প্রতি। এ ব্যাপারে সামাজিক বনায়নে সুবিধাভোগী ‘তিলাশীজুরা সিকন্দর আলী বৃক্ষরোপণ সমিতি’র পক্ষে নাহিদ খন্দকার ও খন্দকার খয়রুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি অভিযোগ দেন। অভিযুক্তরা হলেন ওই এলাকার আপ্তাব আলীর ছেলে মিলন মিয়া ও আখই মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া। অভিযোগের অনুলিপি কুলাউড়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ ও গাজীপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা বরাবরে দেওয়া হয়েছে।



অভিযোগ ও ভুক্তভূগীদের কাছ থেকে জানা যায়, সামাজিক বনায়নের আওতায় উপজেলার ফানাই নদীর দক্ষিণ তীরে রাউৎগাওয়ের তিলাশীজুরা হতে ভবানীপুর অংশে প্রায় দুই কিলোমিটার জুড়ে ৫ সহস্রাধিক আকাশমনি, বেলজিয়ামসহ গাছের চারা রোপণ করা হয় ২০২১ সালে।এ বনায়নে ‘তিলাশীজুরা সিকন্দর আলী বৃক্ষরোপণ সমিতি’র সুবিধাভোগী ২০ সদস্য জন সদ্স্য রয়েছেন। তিলাশীজুরার স্থানীয় বাসিন্দা মিলন মিয়া ও কামাল মিয়া শুরু থেকে বনায়নে বাঁধা ও ক্ষতিসাধনের পায়তারা করে আসছিলেন। সমিতির সদস্যদের হুমকি দিতেন তাঁদের সুবিধা না দিলে বনায়নের গাছ বড় হতে দিবেন না। সম্প্রতি রাতের আঁধারে এই দুইজন ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে নদীর তীরে সৃজিত প্রায় ৫ শতাধিক ১ বছর বয়সী চারাগাছ ভেঙে ও উপড়ে ফেলে। এরপরও তারা ক্ষান্ত হয়নি উল্টো হুমকি ধামকি ও পুরো বনায়নের গাছ নষ্টের পায়তারায় লিপ্ত রয়েছেন। 

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করে মিলন মিয়া ও কামাল মিয়াকে পাওয়া যায়নি। 

এ ব্যাপারে বন বিভাগের কুলাউড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। এটি তদন্তের জন্য কুলাউড়া থানা পুলিশের কাছে দিয়েছি। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post