ঘরে ঘরে সর্দিজ্বরে আক্রান্ত রোগী বাড়ছে



নিউজ ডেস্কঃ হঠাৎ করে করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যে মৌলভীবাজারে ঘরে ঘরে সর্দিজ্বরে আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। করোনা, নাকি ভাইরাস জ্বর, এ নিয়ে অনেকেই দ্বিধা দন্ধে রয়েছেন। ফলে জ্বরে আক্রান্ত সাধারণ মানুষজন শুরুতেই রোগটির ধরণ বুঝতে পারছে না। রয়েছে করোনা টেস্টে অনীহা। এ পরিস্থিতিতে অনেকটা কাবু হয়ে পড়েছেন জ্বরে আক্রান্তরা।

শনিবার ১৬ জুলাই জেলা সিভিল সার্জন অফিসের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত দৈনিক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যেখানে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত ৯ হাজার ৮৮৭ জন। যেখানে মৃত্যুবরণ করেন মোট ৭২ জন।

সচেতন মহলের ধারণা, অনেকেই সাধারণ ফ্লু মনে করে করোনা পরীক্ষা করাচ্ছেন না। বর্তমানে করোনার প্রকোপ চলমান। কারো যদি জ্বর, ঠান্ডা, কাশি লেগে থাকে তাহলে পরীক্ষা করানো উচিত। এতে যিনি আক্রান্ত হচ্ছেন তার থেকে অনেক মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করা যাবে। পরীক্ষা না করলে জানা যাবে না তিনি আক্রান্ত কিনা। আক্রান্ত হয়ে থাকলে তার চারপাশে অনেকেই আক্রান্ত হতে পারেন বলে তারা জানান।

জেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনেক বাসাবাড়িতে জ্বর, সর্দিকাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা। এর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যা বেশি। আশঙ্কাজনক হারে জ্বরের রোগী বেড়ে যাওয়ায় জনসাধারণের মাঝে করোনাভীতিও বিরাজ করছে।

চাঁদনীঘাট এলাকার আব্দুর রব বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে সর্দি-জ্বরে ভুগেছি। করোনা টেস্ট করি, নেগেটিভ এসেছে। তবে, এবারের জ্বরে সারা শরীরের ব্যাথা অনুভব করছি।’

এ নিয়ে জানতে চাইলে একাধিক চিকিৎসক বলেন, চলতি মৌসুমে নানা কারণে অনেকেই জ্বরে ভুগছেন। এর মধ্যে আছে করোনা, ডেঙ্গু এবং মৌসুমি ফ্লু। জ্বরের কারণে অনেকেরই মুখের রুচি চলে যাচ্ছে এবং তা স্বাভাবিক হতেও অনেক দিন সময় লাগছে। অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধের পাশাপাশি মাথাব্যথাসহ সারা শরীরে ব্যথা হচ্ছে এবার জ্বরে। তাদেরকে অবশ্যই চিকিৎসকে পরামর্শ নিতে হবে, বেশি তরল খাবার খেতে হবে এবং বিশ্রামে থাকতে হবে বলে তিনি জানান।

মৌলভীবাজার জেলার সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দীন মোর্শেদ বলেন, করোনার এখন চতুর্থ ঢেউ চলছে। যেহেতু করোনাভাইরাস ক্রমাগত রূপ পরিবর্তন করছে। কিন্ত জনগণ এ বিষয়ে পুরোপুরি উদাসীন। বিশেষ করে টিকা নেওয়ার পর অনেক ক্ষেত্রেই এই আগ্রহ এখন আর দেখা যাচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ বিশেষ করে মাস্ক পরা ও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা আবার বাধ্যতামূলক করতে হবে, তা আমাদের বিবেচনায় রয়েছে বলে তিনি জানান।

Post a Comment

Previous Post Next Post