কুলাউড়ায় আগামী দুর্গাপূজার কমিটি হবে হিন্দু-মুসলিম সমন্বয়ে



নিউজ ডেস্কঃ দুর্গাপূজার আগে তৈরি হবে ১৫ সদস্যের কমিটি, তাঁর মধ্যে ১০ জন মুসলিম ৫ জন হিন্দু। এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে কর্মধা কাঠালতলি বাজারের নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর হলরুমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধায় শারদীয় দুর্গাপূজায় ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনা ও ভাংচুর এর কারণে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলবন্ধনে এ সম্প্রতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সমাবেশে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিনয় ভুষন রায়ের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতিকুর রহমান, কর্মধা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদ আহমদ, কর্মধা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আপ্তাব আলী, জাসদ নেতা আশিকুর রহমান ফটিক।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শিক্ষক বরেন্দ্র সিংহ, সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ছানোয়ার আহমদ, ছাত্রলীগের সভাপতি নিত্য মল্লিক সহ বিভিন্ন পুজা মান্ডুপের সভাপতি ও সম্পাদকেরা এবং অত্র এলাকার সচেতন নাগরিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় সিদ্ধান্ত হয় আগামী দুর্গাপূজার আগে ১৫ সদস্য নিয়ে কমিটি করা হবে। এতে থাকবেন ১০ জন স্থানীয় মুসলিম সদস্য এবং ৫ জন হিন্দু সদস্য।

সমাবেশে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু পূজামণ্ডপের প্রতিনিধিরা জানান, একটা কুচক্রী মহল হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আগাত করে কর্মধার রাঙ্গার দোকান এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু লোক স্লোগান দিয়ে এসে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তাৎক্ষণিক হামলা চালায়। পরবর্তীতে অনেকেই এসে আমাদের সমবেদনা জানান। আমাদের ব্যবহার করে কিছু মানুষ নিজেদের সার্থ হাসিল করতে চায়। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, কেন কর্মধা এই ধরনের নিউজের শিরোনাম হলো? আমরা কি এদের প্রতিহত করতে পারতাম না? মাত্র কয়েকজন অপরাধীদের প্রতিহত করা আমাদের বিশাল সচেতন ভালো মানুষের পক্ষে কঠিন কিছু ছিলো না। কিন্তু আমরা তখন ভালো মানুষদের নিষ্ক্রিয়তা দেখেছি। আমরা চাই এধরণের কোন ঘটনা যাতে না ঘটে সে ব্যবস্থা করতে। কারণ অতীতে এমন কিছু মৌলভীবাজারে হয়নি আগামীতে যাতে না হয় সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা সেভাবে কাজ করছি। এসে আপনাদের সকল নাগরিকদের এগিয়ে আসতে হবে। 

Post a Comment

Previous Post Next Post