কুলাউড়ায় দলীয় সিদ্ধান্তে নির্বাচন করছেন না বিএনপির দুই প্রার্থী

 


আজহার মুনিম শাফিন: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় দলের সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ালেন গত নির্বাচনে ধানের শীষ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দুই প্রার্থী। একজন সদর ইউনিয়ন থেকে নির্বাচন করা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সুফিয়ান আহমেদ ও অন্যজন রাউৎগাঁও ইউনিয়ন থেকে নির্বাচন করা বহিবিশ্ব জাতিয়তাবাদী ফোরামের সহ-সভাপতি ও কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি আব্দুল মুহিত সোহেল ।

শুক্রবার (১ অক্টোবর) বিকেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “আওয়ামীলীগ সরকারের অধীনে বিএনপি দলীয়ভাবে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না” এমন ঘোষনা দিলে নির্বাচনে সরে দাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাক্তিগত ফেসবুক টাইমলাইনে প্রকাশ্যে ঘোষনা দেন এই দুই প্রার্থী। যা মুহুর্তেই ভাইরাল হলে দেশ বিদেশে অবস্থানরত বিএনপি নেতাকর্মীরা সাধুবাদ জানান।

রাউৎগাঁও ইউনিয়নের আব্দুল মুহিত ভিপি সোহেল বলেন, আমি স্কুল জীবন থেকেই ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত এবং আজও শহীদ জিয়ার আদর্শকে বুকে ধারণ করে আছি। দেশের এই ভয়াবহ বিপর্যয়ে আমার দল বিএনপি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেনা। সেই সুবাদে আমিও তাতে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আপনাদের আশ্বস্ত করছি যে, যদি আবার দেশ গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে ফিরে আসে এবং বিএনপি তাতে সায় দেয় তবে আগামীতে আপনাদের কাছে আমার দেওয়া প্রতিশ্রুতির হেরফের হবে না।

কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের সুফিয়ান আহমেদ বলেন,  আমার রাজনৈতিক স্বপ্নের শুরু ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতৃত্বের মধ্যে দিয়ে। বর্তমানে আমি একটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল জায়গায় অবস্থান করছি। আমার নেত্রী অসুস্থ অবস্থায় কারান্তরীন, নেতা দেশান্তরি, দেশের মানুষ নির্বাচন-বিমূক, দ্রব্যমূল্যের দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে এই অবস্থায় দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলগত ভাবে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার। এই চিন্তাভাবনা থেকে দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না।

তিনি বলেন, আমি চাই দেশ এবং দলের ক্ষতি করে এমন আচরণ কারো কাছে কাম্য নয়। তাই দলের নিরবতার সুযোগ নিয়ে ব্যাক্তিগতভাবে লাভবান হতে চাই না। যে কারনে আগামী ২৮ নভেম্বর নির্বাচনে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অংশগ্রহণ করতে পারছিনা।

উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নের মধ্যে দুটিতে প্রকাশ্য ঘোষনা দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ালেন সুফিয়ান-সোহেল। বাকি এগারো ইউনিয়নের নির্বাচনে বিএনপি থেকে কেউ প্রার্থী হচ্ছেন কি না এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক বদরুজ্জামান সজল বলেন,  আমার দল যেহেতু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেনা সেহেতু যারা স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন, এটা তাদের সম্পুর্ন ব্যাক্তিগত ব্যাপার । গত নির্বাচনে আমাদের দলের মনোনীত দুইজন প্রার্থী নির্বাচন করেছিলেন, এবার তারা দলের সিদ্ধান্তের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছেন। আমরা তাদেরকে সাধুবাদ জানাই।

Post a Comment

Previous Post Next Post