ছিনতাইকারী ও পকেটমার আতঙ্ক মাইজগাঁও রেলস্টেশনে



নিউজ ডেস্কঃ সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ মাইজগাঁও রেলস্টেশনে বৃদ্ধি পেয়েছে ছিনতাইকারী ও পকেটমারদের দৌরাত্ম্য। স্টেশনে মেইল ট্রেনসহ সকল আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজ থাকায় এখানে যাত্রীর আনাগোনা থাকে বেশি। যাত্রীদের উঠা নামার ব্যস্ততার সুযোগে মাইজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে বেড়ে গেছে অপরাধ প্রবণতা। এ অবস্থায় ট্রেন যাত্রীরা পড়ছেন বিপাকে।

জানা যায়, ছিনতাইকারীরা প্লাটফর্মের শেষ প্রান্তের বগি লক্ষ্য করে দাঁড়িয়ে থাকে। ট্রেনটি স্টেশন ত্যাগ করার সময় ধীর গতিতে চলতে শুরু করলে ছিনতাই করে তারা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উভয় দিকে চলাচলকারী মেইল ট্রেন ও আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রীদের মুঠোফোন, স্বর্ণালঙ্কার, ব্যাগ ইত্যাদি ছিনতাই করে নেয়।

প্রত্যক্ষদর্শী আবুল হাসান জানান, গত ২১ অক্টোবর দুপুর সাড়ে পৌনে ১টার সময় ঢাকা থেকে সিলেটগামী আন্তঃনগর পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন স্টেশন ত্যাগ করার মুহূর্তে বগির জানালা দিয়ে স্থানীয় এক যুবক এক নারী যাত্রীর গলার স্বর্ণের চেইন ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ট্রেন চলতে থাকায় কেউ যুবককে ধরতে ট্রেন থেকে নামেন নি।

ফেঞ্চুগঞ্জের ব্যবসায়ী সমির উদ্দিন বলেন, গত কয়েকদিন পূর্বে ঢাকা থেকে পারাবত এক্সপ্রেসে মাইজগাঁও রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে নামার সময় হঠাৎ করে দেখি আমার প্যান্টের পকেটে আমার স্মার্টফোন নেই। সঙ্গে সঙ্গে আমি ফোনে কল দেওয়া মাত্র সুইচ বন্ধ দেখতে পায়। অথচ ট্রেন থেকে নামার দু’মিনিট আগে স্টেশনে আসার জন্য আমার গাড়ির ড্রাইভারের সঙ্গে আমি কথা বলেছি।

স্থানীয় কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ বলেন, স্টেশনে যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য কয়েকবছর আগে স্টেশনে রেলওয়ে পুলিশ দেখা যেত। বর্তমানে মাইজগাঁও রেলস্টেশনে কোনো রেলওয়ে পুলিশ নেই। সেজন্য সিলেট-কুলাউড়া রেলস্টেশনের মধ্য জায়গা মাইজগাঁও রেলস্টেশনে যাত্রীরা নামার সময় ছিনতাই হয় বেশি। স্টেশনে যাত্রীদের সচেতন করার জন্য করা হয় না কোনো মাইকিং।

মাইজগাঁও রেলস্টেশন মাস্টার মনির হোসেন বলেন, ছিনতাইকারী ও পকেটমাররা বিভিন্ন স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠে। তারা যাত্রীবেশে ট্রেনে থাকার কারণে তাদের চিহ্নিত করা যায় না। জনবল সংকটের কারণে স্টেশনে পুলিশ ফাঁড়ি ও রেলওয়ে পুলিশ নেই।

এ বিষয়ে সিলেট রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলিম হোসেন শিকদারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেন নি ও খুদেবার্তা পাঠিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। 

Post a Comment

Previous Post Next Post