অনলাইন ডেস্কঃ পর্তুগালের আলগার্ভের মুনসিক মিউনিসিপ্যালিটির বনাঞ্চল পুড়ছে ভয়াবহ আগুনে। ১৭ জুলাই দুপুর দেড়টায় এ দাবানলের সূত্রপাত। পরে এটি পাশের পরতিমাও মিউনিসিপালিটিতেও ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল পরতিমাওতে এক সংবাদ সম্মেলনে ফারো জেলা অপারেশনের কমান্ডার রিচার্ড মার্কস বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তাছাড়া এ পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির চিত্র জানাতে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ন্যাশনাল গার্ডের (জিএনআর) দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি শুধুমাত্র একটি ঘর এবং কয়েকটি পরিত্যক্ত গাড়ি আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
আশপাশের এলাকায় বসবাসরত নাগরিকদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করছে জিএনআর। দাবানলের খুব কাছের এলাকা আলাদেইয়া ডা পেরেইরা থেকে ৩০ জন নাগরিককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া পোষ্য প্রাণিদের রক্ষা করার জন্য পশু চিকিৎসকের একটি দল দাবানলের আশপাশের অঞ্চলে দায়িত্ব পালন করছেন।
দুর্গম অঞ্চল এবং বাতাসের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়ছে। গতকাল রাত ৯টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত একটি উড়োজাহাজসহ ১১১টি অগ্নিনির্বাপক গাড়ি এবং প্রায় ৩৪৭ জন দমকল কর্মী আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ওই অঞ্চলে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে তারা নিরাপদ দূরত্বে রয়েছেন তবে দাবানলের গতিপ্রকৃতি যেকোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে। তাই জাতীয় নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী অনেককে বাসস্থান ত্যাগ করে আশ্রয়কেন্দ্র বা দূরবর্তী স্থানে বন্ধু-বান্ধবের বাসায় অবস্থান করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে এ অঞ্চলে যে দাবানল হয়েছিল সেটিকে ইউরোপের সবচেয়ে বড় দাবানল হিসেবে মনে করা হয়। সেবার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সাতদিন সময় লেগে গিয়েছিল। প্রায় ২৭ হাজার হেক্টর বনাঞ্চল এবং কৃষি জমি ফসলসহ আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।