মৌলভীবাজারে করোনার ভ্যাকসিন আবারও শুরু



স্টাফ রিপোর্টারঃ আবারও শুরু হয়েছে মৌলভীবাজারে কোভিড-১৯ করোনার ভ্যাকসিন। ইতোমধ্যে যে সকল ব্যক্তি ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রশন করেছেন কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ভ্যাকসিন পাননি তাদেরকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশে বসবাসরত চীনা নাগরিকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। মৌলভীবাজারে সর্ব শেষ ১৯ জুন করোনার নমুনা সংগ্রহের রিপোর্ট অনুয়ায়ি ২৪.৬ ভাগ আক্রান্ত মিলেছে।

জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ জানান, ১৮ জুন ৮ হাজার ৪ শত ডোজ কোভিড-১৯ এর টিকা চীনের দেয় উপহার সিনোফার্ম কোম্পানীর ভ্যাকসিন মৌলভীবাজারে এসে পৌঁছে।

শনিবার ১৯ জুন হইতে প্রতিদিন সকাল ৮ ঘটিকা হইতে বিকাল ৩ ঘটিকা পর্যন্ত (শুক্রবার ও সরকারী ছুটির দিন ব্যতীত) শুধু মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নিম্নে উল্লেখিত শর্তাবলী পালন সাপেক্ষে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে জানানো হয়। প্রথম দিনে ৩২ জন ভ্যাকসিন গ্রহন করেন।

ভ্যাকসিন গ্রহণের অগ্রাধিকার জনগোষ্ঠী :

১। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশনের জন্য উল্লেখিত নির্ধারিত কেন্দ্রে ইতোমধ্যে যে সকল ব্যক্তি ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রশন করেছেন কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ভ্যাকসিন পাননি তাদেরকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

২। অগ্রাধিকার প্রাপ্ত সরকারী স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশ সদস্যবৃন্দ (যারা পূর্বে ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন নাই।

৩। অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিদেশগামী বাংলাদেশী অভিবাসী কর্মী। জনশক্তি উন্নয়ন ব্যুরো কর্তৃক অনুমোদিত/রেজিষ্ট্রেশনকৃত)।

৪। সরকারী ও বে-সরকারী মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থীগণ।

৫। সরকারী নার্সিং ও মিডওয়াইফারি, সরকারী ম্যাটস এবং সরকারী আই এস টি-এর শিক্ষার্থীগণ।

৬। সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের শিক্ষার্থীগণ।

৭। সারা দেশে কোভিড-১৯ মৃতদেহ সৎকার কাজে নিয়োজিত ওয়ার্ড/পৌরসভারকর্মী। যারা পূর্বে ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন নাই।

৮। বাংলাদেশে বসবাসরত চীনা নাগরিক।

বিশেষ নির্দেশনাবলী :

১। সাইনোফর্ম ভ্যাকসিন প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতিজেলায় (ঢাকা জেলা বাদে) একটি করে ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্র হবে এবং প্রতিটি কেন্দ্রে দুইটি করে বুথ থাকবে।

২। ১ম ডোেজ ভ্যাকসিন প্রদানের ২৮ দিন পর ২য় ডোজ প্রদান করতে হবে।

৩। কেন্দ্র পরিবর্তন করে ভ্যাকসিন প্রদান করা যাবে না।

৪। অনিবন্ধিত ব্যক্তি ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবেন না।

৫। অন্য কোন দেশ থেকে ১ম ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করে বাংলাদেশে আসলে ২য় ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে না।

যাদেরকে ভ্যাকসিন প্রদান করা যাবে না :

অনুর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সী জনগোষ্ঠী, গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারী, ভ্যাকসিন গ্রহণের সময় জ্বর আক্রান্ত বা অসুস্থ ব্যক্তি, ভ্যাকসিনজনিত অ্যালার্জির পূর্ব ইতিহাস, ১ম ডোজ গ্রহণের পর অ্যালার্জি বা এইএফআই হলে, অনিয়ন্ত্রিত দীর্ঘমেয়াদী রোগ যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোক, যক্ষা, অ্যাজমা/শ্বাসকষ্ট, কিডনি রোগ, ডায়ালাইসিস নিচ্ছেন এমন ব্যক্তি, ক্যান্সার আক্রান্ত এবং স্বল্প রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার জনগোষ্ঠী।

জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ৬৫ জনের শরিরে নমুনা সংগ্রহ করে পরিক্ষায় পাঠালে ১৬ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী আক্রান্তের হার ২৪ দশমিক ৬ ভাগ। এ পর্যন্ত জেলায় ২ হাজার ৭ ‘শ ২২ জনের শরিরে করোনা সনাক্ত হয়। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৪ শত ৬১ জন। হাসপাতালে চিকিৎসা ভর্তি রয়েছেন ১৭ জন। সরকারী হিসেবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন ৩৩ জন। তবে করোনায় আক্রান্ত মৃত্যুবরণকারী পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে বে-সরকাররি হিসেবে জেলার বাহিরে চিকিৎসা নিতে গিয়ে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৩ জন।

Post a Comment

Previous Post Next Post