কুলাউড়া শহরের দুই প্রান্তে সিএনজি স্ট্যান্ডের জন্য স্থান নির্ধারণ



নিউজ ডেস্কঃ ভোগান্তি আর যানজটের শহর কুলাউড়া। প্রধান সড়কের দু’ধারে গড়ে উঠেছে অবৈধ গাড়ীর স্ট্যান্ড। তার পাশেই ভ্রাম্যমাণ দোকানপাঠ। তার মধ্যে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে ১০ গুণ বেশি চলে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা। সে সাথে রয়েছে যত্রতত্র গাড়ী পার্কিং। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সব মিলিয়ে যন্ত্রণা আর যান্ত্রিক শহরে পরিণত হয়েছে কুলাউড়া শহর।

দীর্ঘদিন এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিতে না দেখা গেলেও এবার অবশান ঘটতে চলেছে। যানজটমুক্ত ও শহর কে সুন্দর করতে উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে নেয়া হয়েছে ব্যাপক পরিকল্পনা। ইতি মধ্যে শহরের দুই পাশের সিএনজি স্ট্যান্ড সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। শহরের বাহিরে দুই প্রান্তে হবে সিএনজি স্ট্যান্ড। এতে করে শহরের যানজট অনেক টা কমে আসবে। পর্যায়ক্রমে হকারদের পুনর্বাসন ব্যবস্থা করে ফুটপাত থেকে সরিয়ে নেয়া হবে। সেই সাথে নিয়মের মধ্যে আনা হবে ব্যাটারি চালিত অটো রিকশাগুলো। সাধারণ মানুষজনেরা বলছেন এ সবকিছুর বাস্তবায়ন করতে পারলেই যানজট থেকে মুক্তি পাবে শহরবাসী।

বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে শহরের দুই প্রান্তে সিএনজি স্ট্যান্ডের জন্য সড়ক ও জনপদের ফাঁকা জায়গা উদ্ধারে এক অভিযানে নামেন কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন কুলাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজরাতুন নাঈম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপদের কর্মকর্তা ও পৌরসভার কাউন্সিলরবৃন্দসহ আরো অনেকে।

অভিযান শেষে কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সিএনজি,হকার, অটো রিকশা ও ব্যবসায়ী  সবাইকে নিয়ে শহরকে যানজট মুক্ত করবো।  এ শহর কে সুন্দর ও যানজটমুক্ত করতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। যত্রতত্র সিএনজি স্ট্যান্ড বন্ধ করতে শহরের দুই প্রান্তে স্ট্যান্ডের ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য আজকের অভিযানে জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে স্ট্যান্ডের উপযোগী করার জন্য কাজ চলছে।আশা করি দ্রুত সুফল দেখতে পাবে শহরবাসী।

Post a Comment

Previous Post Next Post