শমসেরনগর গ্যাস ফিলিং স্টেশনে সংঘর্ষ অটোরিকশা চালক নিহত



নিউজ ডেস্কঃ শমসেরনগরের বড়চেগ এলাকায় গ্যাস ফিলিং স্টেশনে গ্যাস নেয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে এক অটোরিকশা চালক নিহত হয়েছে। এ ঘটনার খবরে শক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে প্রায় দেড় ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে অটোরিকশা চালকরা। নিহত অটোরিকশা চালকের নাম আব্দুল জলিল। তার বাড়ি পার্শবর্তী আলীনগর বস্তি এলাকায়।

পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, আগে ও পরে গ্যাস নেয়া নিয়ে কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শফি আহমদের গাড়ির চালক হামিদ মিয়ার সঙ্গে জলিলের কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সংর্ঘষ শুরু হলে জলিলকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এ সময় আহত হয়েছেন এক মাইক্রোবাস চালক। ৪ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাবেক চেয়ারম্যান শফি আহমদকে বহনকারী প্রাইভেট কার ওই ফিলিং স্টেশনে গ্যাস নিতে আসে। সে সময় আগে ও পরে গ্যাস নেয়া নিয়ে ওই গাড়ির চালক হামিদ মিয়ার সঙ্গে জলিলের তর্কাতর্কি হয়। এর জেরে সংর্ঘষ শুরু হলে জলিলকে ছুরিকাঘাত করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে শমসেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন জানান, অটোরিকশাটি গ্যাস নেয়ার জন্য শমসেরনগর ইউনিয়নের বড়চেগ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে প্রাইভেট কারের লাইনে ঢুকে পড়ে। এ নিয়েই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শফি আহমদের গাড়ি চালকের সঙ্গে জলিলের তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে তা হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। খবর পেয়ে আশপাশের গ্রাম থেকে শফির সমর্থক ও অন্য অটোরিকশা চালকরা জড়ো হলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তখনই ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন জলিল ও সেখানে থাকা একটি মাইক্রোবাসের চালক মনির মিয়া আহত হন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় জলিলকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার সময় পথে মধ্যরাতে মৃত্যু হয়।

তার মৃত্যুর খবরে এলাকাবাসী ও অটোরিকশা চালকরা শমসেরনগর-কমলগঞ্জ সড়ক থেকে অবরোধ করে। পরে পুলিশ প্রশাসন আসামী গ্রেপ্তারের আশ^াস দিলে দূপুর ১২ টায় তোলে নেয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post