কুলাউড়ার পৃথিমপাশা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কার্যক্রম চলছে জরাজীর্ণ ঘরে

 


সৈয়দ আশফাক তানভীর: কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নে রবিরবাজার ভূমি অফিসটির কার্যক্রম চলছে একটি জরাজীর্ণ ঘরে। আধুনিক ভবন না থাকায় ব্রিটিশ আমলে নির্মিত জরাজীর্ণ ও ঝুকিপূর্ণ টিন সেডের ঘরে দীর্ঘদিন থেকে চলছে কার্যক্রম। পৃথিমপাশা ও কর্মধা ইউনিয়নের ২২টি মৌজা নিয়ে সর্ববৃহৎ এলাকা নিয়ে এ ভূমি অফিসটি প্রতি বছর সর্বচ্চো রাজস্ব আদায় করে কুলাউড়া উপজেলার মধ্যে। আধুনিক ভবনের অভাবে  জরাজীর্ণ ঘরে এ অফিসটি সেবা প্রদান কার্যক্রমে ব্যঘাত ঘটছে ।

সরেজমিন ভূমি অফিসে গিয়ে দেখা যায়, ২৮ শতক ভূমির উপর টিন সেডের একটি ঘরে ভূমি অফিসে ৩জন কর্মকর্তা কর্মচারী দায়িত্ব পালন করছেন। ভূমি অফিসে আসা সেবা গ্রহিতার বসার স্থান সংকুলান না হওয়ায় অনেকে দাঁড়িয়ে ও বাহিরে অপেক্ষা করে কাজ কর্ম সম্পাদন করছেন। রেকর্ড পত্র রাখার ঘরের উপরে টিনের চাল নষ্ট থাকায় বৃষ্টির পানি ঢুকে কাগজপত্র ও আসবাব পত্র বিনষ্ট হচ্ছে। এ অফিসে প্রতিদিন শতাধিক মানুষের সেবা গ্রহণ করে থাকেন। এছাড়া এখানে দুটি ইউনিয়নের ২২টি মৌজা, ৬টি চা বাগান ও সর্ববৃহৎ হাট রবিরবাজার সহ অন্যান্য খাত থেকে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে আদায়কৃত ১ কোটি ৪৫ লক্ষ ৮৯ হাজার ৬৯১ টাকা রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা পড়েছে। সরকার এখান থেকে প্রতি বছর কোটি টাকার উপরে রাজস্ব আদায় করলেও উপজেলার প্রাচীন ও সর্ববৃহৎ এ ভূমি অফিসটি অবহেলা আর অযতেœ রয়েছে দীর্ঘদিন থেকে। এছাড়া অফিস ষ্টাফের ৬টি পদের মধ্যে ৩টি পদ শূন্য রয়েছে অনেক দিন থেকে। সেবা গ্রহিতা মোঃ সিকন্দর আলী, নয়ন লাল জানান আমরা জমির খাজনা দিতে অফিসে এসেছি কিন্তু এখানে স্থান সংকুলানের কারনে বসার কোন ব্যবস্থা না থাকায় দাঁড়িয়ে সেবা গ্রহণ করেছি। এ অফিসটি আধুনিকায়ন প্রয়োজন। অফিস ঘরটি বাহির থেকে দেখলে মনে হয় একটি পরিত্যক্ত ঘর।

ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মোত্তাকীন বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই অফিসটি উপজেলার মধ্যে সর্ববৃহৎ এলাকা নিয়ে কার্যক্রম চলছে। আধুনিক ভবন না থাকায় বৃষ্টির পানি ও অন্যান্য কারনে রেকর্ড পত্র ও আসবাব পত্র নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একটি আধুনিক ভবন নির্মাণের প্রয়োজন উল্লেখ করে উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।

মৌলভীবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মল্লিকা দে বলেন, কুলাউড়া ইতিমধ্যে কয়েকটি ইউনিয়ন ভূমি অফিস ভবণ আধুনিকায়ন করা হয়েছে। রবিরবাজার অফিসটি জরাজির্ণ হলে দ্রুত ভবন নির্মাণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।  

Post a Comment

Previous Post Next Post