কুলাউড়ায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবিতে মানববন্ধন



এইচ ডি রুবেল: কুলাউড়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় লোকজন। বুধবার ৫ আগষ্ট সকালে ১নং ওয়ার্ডের বিহালা এবং মৈন্তাম গ্রামবাসীর ব্যানারে ঘন্টাব্যাপী শান্তিপূর্ণ এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ” এমন স্লোগান নিয়ে ওই দুটি এলাকার পাঁচ শতাধিক লোক মানববন্ধনে স্বত:স্ফুত অংশগ্রহণ করেন।

এলাকার প্রবীন মুরব্বী আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে এবং ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমান জনি ও আতিকুল ইসলাম আতিক এর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে একাত্বতা পোষন করে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি বদরুজ্জামান সজল।

বিদ্যুৎ সঞ্চালনের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে বক্তব্য দেন, কুলাউড়া শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ১নং ওয়ার্ডের সম্ভব কাউন্সিলর প্রার্থী নেছার আহমদ, বিশিষ্ট সমাজসেবক হাজী কুটি মিয়া, ওই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলার ইউনুছ আলী, শিক্ষাবিদ আব্দুল মনাফ, মৈন্তাম এলাকার বাসিন্দা নুরু মিয়া, প্রবাসী সাইদুল ইসলাম, স্থানীয় বাসিন্দা মুক্তাদির হোসেন, আব্দুল বাছিত, আছকর আলী, দলিল লিখক অনিবার মল্লিক প্রমুখ।

ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তাগন বলেন, দীর্ঘ ২৫-৩০ বছর থেকে বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাটসহ নানামুখি উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত এই এলাকাগুলো। জাতীয় এবং স্থানীয় নির্বাচন আসলেই নব্য জনসেবকরা সাধারণ মানুষকে নানা ধরনের উন্নয়নবাণী শুনান। কিন্তু নির্বাচন গেলেই আর তাঁদের দেখা মেলেনা। বর্তমানে এ-গ্রেড মানের পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড হওয়ার পরেও উন্নয়নের কোন ছোয়া লাগেনি এখানে। ওয়ার্ডের প্রত্যেকটি স্থানে বাঁশ ও গাছের খুঁটিতে সঞ্চালিত হয়েছে বিদ্যুতের লাইন। সামান্য ঝড়-বাতাসে সেইসব নড়বড়ে খুঁটিগুলো উপড়ে পড়ে গিয়ে মাটিতে পড়ে থাকে লাইনগুলো। পিডিবি কর্তৃপক্ষকে বার বার বলার পরেও তারা এ ঝরাজীর্ণ লাইন মেরামতে কোন উদ্যোগ নেয়নি। মানুষের ভোগান্তির কোন শেষ নেই। সন্ধ্য হলেই নিভু নিভু আলো জ্বলে। ভল্টেজ একেবারে কম থাকায় ফ্যান, টিভি, ফ্রিজ, পানির পাম্প কিছুই চলেনা। এমনকি বাল্বগুলোও ঠিকমতো জ্বলে না। তাছাড়া মিটার না দেখেই প্রতি মাসে ভূতুড়ে বিল দেয়া হয়। যা নিয়ে গ্রাহকরা ভোগান্তিতে পড়েন। দ্রুত বাঁশ ও গাছের খুঁটি অপসারণ করে এবং

ঝরাজীর্ণ লাইন সংস্কারের মাধ্যমে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জোর দাবি জানান তারা। অন্যতায় আগামীতে আরও বড়ধরনের প্রদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।

এব্যাপারে কুলাউড়া বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রের (বিউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শামছ্-ই আরেফিন জানান, দেড় থেকে দুই বছর আগে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ লাইনের উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু এখনও শেষ হয়নি, যা অত্যান্ত দু:খজনক। আমার সুযোগ থাকলে আমিও এলাকাবাসীর সাথে মানববন্ধনের দাঁড়াতাম!। এখানে আমাদের লোকাল অফিসের কোন গাফিলতি নেই। প্রকল্প দপ্তরের কিছুটা দায়িত্বহীনতায় কাজটি এত বিলম্বিত হচ্ছে, যেটি আমি মনে করছি। তাছাড়া ঠিকাদারদের একটা দৌরাত্ন আছে, তারা ঢাকা থেকে কাজ নিয়ে এসে এখানে যেনতেন অবস্থা করে। কাউকে পাত্তাই দেয়না। এরপরও আমার পক্ষ থেকে প্রকল্প দপ্তরে যোগাযোগ করে এলাকার ভোগান্তির কথা তুলে ধরবো। আর বর্তমানের করোনা পরিস্থিতির কারনে বিদ্যুৎ বিলে কিছুটা গড়মিল হয়েছে। তবে যারাই আসছেন আমরা যথাসাধ্য তাদেরকে সমাধান করে দিচ্ছি।

Post a Comment

Previous Post Next Post