আব্দুল জব্বারের স্মৃতি চারণ করলেন তিন মন্ত্রী



বিশেষ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার-২ আসনের সাবেক এমপি, বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও একুশে পদকে (মরণোত্তর) ভূষিত মরহুম আব্দুল জব্বারের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এতে ভার্চুয়ালে আলোচনা সভায় অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের তিন মন্ত্রী ও এক মহিলা সাংসদ। 

শুক্রবার (২৮ আগষ্ট)  সন্ধ্যা ৭টায় কুলাউড়া উপজেলা আ'লীগের অফিসে স্মরণসভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রটোকল অফিসার আবু জাফর রাজু। 

এসময় ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. একে আব্দুল মোমেন। আব্দুল জব্বার নিরহংকার, নির্লোভ আখ্যা দিয়ে মন্ত্রী বলেন 'উনি নিজের জন্য কিছুই চাননি। সারাটা জীবন মানুষের জন্য কাজ করে আত্মতুষ্ট লাভ করেছেন। উনার অবর্তমানে ছেলেকে প্রধানমন্ত্রী প্রটোকল অফিসার হিসেবে নেত্রী নিয়োগ দিয়েছেন।

বেশ কিছু বিষয়ে স্মৃতি চারণ শেষে আব্দুল জব্বারকে একুশে পদকে ভূষিত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

মুঠোফোনে স্মৃতি চারণ করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী। তিনি বলেন- আমার বাবার সাথে এমপি ছিলেন আব্দুল জব্বার। সাদামাটা জীবন যাপন করতেন তিনি। কোন কিছু পাওয়ার জন্য রাজনীতি করেননি।  জীবনের শেষ সময় অবধি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি অবিচল ছিলেন। আব্দুল জব্বারের মত আদর্শিক মানুষ ছিলেন বলেই ৭৫'র ১৫ আগষ্টের পরবর্তী কঠিন দুঃসময়ে আমরা হাল ধরতে পেরেছিলাম। আজ উনার কথা স্মরণ করেই উনার ছেলেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার হিসেবে নিয়োগ করেছেন। 

পরে মুঠোফোনে আলোচনায় অংশ নেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোঃ শাহাব উদ্দিন আহমদ। মন্ত্রী বলেন- আমাদের নেতা হিসেবে উনাকে পেয়েছি। বৃহত্তর সিলেটের আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত নেতা ছিলেন। সাধারণ মানুষ উনার সাথে প্রাণ খোলে কথা বলতে পারত। আজ জব্বার ভাইয়ের মত নেতার বড়ই অভাব। জব্বার ভাইয়ের উত্তরসূরী হিসেবে উনার ছেলেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার হিসেবে নিয়োগ করেছেন নেত্রী। 

নানা স্মৃতি চারণ করে আব্দুল জব্বারের রোহে আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন পরিবেশ মন্ত্রী।

পরক্ষণেই জেলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ জহুরা আলা উদ্দিন আলোচনা সভায় মুঠোফোনে অংশ নিয়ে বেশ কিছু স্মৃতি চারণ করেন। আলোচনায় অংশ নেন জেলা আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক মিসবাহুর রহমান ও উপজেলা আ'লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু প্রমুখ। 

এছাড়াও উপজেলা আ'লীগের অনুষ্ঠানে উপজেলার আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক আসম কামরুল ইসলামসহ স্থানীয় আ'লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাসদ, কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। পরে মিলাদ শেষে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। 

Post a Comment

Previous Post Next Post