দেশে করোনা পরীক্ষায় নতুন নিয়ম


অনলাইন ডেস্কঃ দেশে প্রতিদিন করোনা শনাক্ত হচ্ছে সাড়ে তিন হাজারের মানুষের। এরমধ্যে সাত থেকে আটশো জন ভর্তি হোন হাসপাতালে আর দিনে সুস্থ হচ্ছেন দেড় হাজারের বেশি মানুষ।

সংক্রমণ শনাক্তের পর দুটি টেস্টে নেগেটিভ এলে করোনামুক্ত বলা হচ্ছিলো আক্রান্তকে তবে পরীক্ষায় দীর্ঘসূত্রতার কারণে নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে হাসপাতাল ছাড়া এবং কাজে যোগ দেয়ার ক্ষেত্রে বিড়ম্বনায় পড়েছেন অনেকে।

যার ফলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন সিদ্ধান্ত, পর পর তিনদিন ওষুধ না খেয়েও জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ঠাণ্ডা না থাকলে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাবেন সেই ব্যক্তি। এছাড়া টানা দশদিন উপসর্গবিহীন থাকলে তাকে করোনামুক্ত ধরে নেয়া হবে।

এতে রোগী ভোগান্তি কমবে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব ডা. রিজওয়ানুল করিম বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সুপারিশ করেছে, যদি কোনো উপসর্গযুক্ত রোগীর (যার শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা ছিলো বা জ্বর ছিলো) পর পর তিন দিন ওষুধ ব্যতিরেকে জ্বর কমে যায় এবং তার শ্বাসতন্ত্রের যে সমস্যা ছিলো সেটার যদি উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয় তবে ওই ব্যক্তির হাসপাতালে থাকার দরকার নেই।

অন্যদিকে, করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া কাজে যোগ দিতে দিচ্ছে না অনেক প্রতিষ্ঠান। তাদের উদ্দেশে অধিদপ্তর বলছে, এখন থেকে হাসপাতালের ছাড়পত্র বা প্রত্যয়ন দেয়া হলেই কাজে যোগ দেয়া যাবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. সানিয়া তহমিনা বলেন, আমরা ইন্টারন্যাশনাল ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন থেকে এই প্রটোকলটা চেঞ্জ করছি। যেটা আগে ছিলো।

বিশেষজ্ঞরা বলছে, মানবদেহে এই ভাইরাস থাকে দশদিন। উপসর্গ না থাকলে তিন দিন পর ওই ব্যক্তি হাসপাতাল ছাড়লে অন্যরা সংক্রমিত হওয়ার সুযোগ নেই। তবে ১৪ দিনের আইসোলেশনে থাকতেই হবে।

তবে জটিল রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসক সিদ্ধান্ত দেবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

উল্লেখ্য, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৪১ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনা (কোভিড-১৯)। ফলে ভাইরাসটিতে মোট ১৮৮৮জন মারা গেলেন। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরো ৩ হাজার ৭৭৫ জন। ফলে আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৯ হাজার ২৫৮ জনে।

Post a Comment

Previous Post Next Post