স্টাফ রিপোর্টারঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় টিলার গাছ থেকে কাঠাল পেড়ে খাওয়ায় লাঠি দিয়ে পিঠিয়ে সালমান আহমদ নামে ১৫ বছরের কিশোর হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত আসামী তোরাব খাঁ (৫০) নামের ব্যাক্তি পুলিশকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যে বুধবার আসামীকে গ্রেপ্তার ও হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার ওসি তদন্ত সঞ্জয় চক্রবর্ত্তী।
এমন লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটে উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নের জগতপুর এলাকায়। নিহত সালমান ওই এলাকার সাহাদ মিয়ার পুত্র।
জানা যায়, গত ১৭ জুন বেলা ১১ টার দিকে সালমান আহমদ বাড়ির পাশে টিলা থেকে জালানী কাঠ আনতে যায়। এরপর সে আর ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুজি করে ওই দিন আর তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরদিন দুপুরে দিকে পার্শ্ববর্তী আবুল মিয়ার টিলায় সালমানের মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা ও তার পরিবার। খবর পেয়ে গহীন টিলা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সালমানে মা সালমা বেগম অজ্ঞাত আসামী দিয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
রহস্যাবৃত্ত এ হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব নেন থানার ওসি তদন্ত সঞ্জয় চক্রবর্ত্তী। এবং ঘটনার সাথে জড়িত ব্যাক্তি পার্শ্ববর্তী সিংহনাদ গ্রামের তোরাব খাঁ’কে আটক ও হত্যার কারণ বের করেন তিনি।
ওসি তদন্ত সঞ্জয় চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘কিশোর সালমান ঘটনার দিন তোরাব খাঁ’র মালিকানাধীন টিলায় গিয়ে গাছ থেকে পাকা কাঠাল পেড়ে খায়। এসময় তোরাব খা বিষয়টি দেখতে পেয়ে সালমানকে লাঠি দিয়ে দৌঁড়ানি দেন। অপর একটি টিলায় গিয়ে সে পড়ে যায়। তখন তোরাব হাতে থাকা লাঠি দিয়ে সালমানকে পিঠাতে থাকেন। এতে তার নাকে ও মাথা আঘাতগ্রস্ত হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। পরে তোরাব টিলা থেকে নিচে সালমানের লাশ ফেলে দিয়ে সেখান থেকে সটকে পড়ে।’তিনি বলেন, ‘এ হত্যার কোন ক্লু ছিলোনা। এমন রহস্যাবৃত্ত মামলার তদন্ত করতে গিয়ে অনেক কৌশল অবলম্বন করতে হয়েছে। অবশেষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) সাদেক কাওছার দস্তগীর স্যার ও ওসি ইয়ারদৌস হাসান স্যারের দিক নির্দেশনায় হত্যার কারণ উদ্ঘাটন ও জড়িত ব্যাক্তিকে আটক করতে সক্ষম হই। আটক তোরাবকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।’