করোনার প্রথম অ্যান্টিবডি ককটেল মানবদেহে প্রয়োগ


অনলাইন ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রথম এমন একটি অ্যান্টিবডি ককটেলের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হয়েছে, যা একই সঙ্গে করোনা রোগীকে সুস্থ করে তুলবে, পাশাপাশি এ ভাইরাস প্রতিরোধও করবে।

দেশটির বিখ্যাত ফার্মাসিউটিক্যালস রেজিনেরন এই ওষুধটি নিয়ে পরীক্ষা শুরু করেছে। এদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো সৌদি আরবও করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি নিয়ে কাজ করছে। দেশটির দুটি বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী আইন মেনে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন তৈরি করছে বলে জানা গেছে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা টিকা উৎপাদনে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ভারতের টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা সিরাম ইন্সটিটিউট। এদিকে দেশটির বিতর্কিত ধর্মপ্রচারক রামদেবের দাবি, অশ্বগন্ধা আর গুলঞ্চ করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে পারে। খবর সিএনএন, আল আরাবিয়া ও টাইমস অব ইন্ডিয়াসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের।

বৃহস্পতিবার রেজিনেরন জানায়, বুধবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি জায়গায় ওই অ্যান্টিবডি ককটেলের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হয়েছে। চার ধরনের ব্যক্তিদের ওপর এটি প্রয়োগ করা হয়েছে।

তারা হলেন- যারা করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন, যাদের রোগের লক্ষণ রয়েছে তবে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি, যেসব ব্যক্তি সুস্থ আছেন কিন্তু অসুস্থ হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে এবং স্বাস্থ্যকর ব্যক্তিরা যারা অসুস্থ ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগে এসেছেন।

জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. আনোয়ার হাশিমের নেতৃত্বে বিজ্ঞানীদের একটি দল এবং কিং আবদুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সৌদি ভ্যাকসিন ইন্সটিটিউট একসঙ্গে করোনার ভ্যাকসিন তৈরিতে কাজ করছে।

খবরে বলা হয়, ভাইরাসটির চিকিৎসায় বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে তৈরি করা ভ্যাকসিনগুলোতে শূকর এবং অ্যালকোহলের মতো নিষিদ্ধ জিনিসও ব্যবহার করা হচ্ছে।

ইসলামী আইন অনুযায়ী শূকরের গোশত বা এর ডেরাইভেটিভ ব্যবহার নিষিদ্ধ করে। মধ্য আফ্রিকা এবং পূর্ব এশিয়ার মুসলিম জনগোষ্ঠী ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক কারণে কোনো সন্দেহযুক্ত ভ্যাকসিন ব্যবহার করতে চায় না। এ কারণে সৌদি আরব ইসলামে অনুমোদিত উপাদান দ্বারা ভ্যাকসিন তৈরি করছে। যাতে মুসলমানরা বিনা দ্বিধায় এটি ব্যবহার করতে পারে।

ভারতে তৈরি হবে অক্সফোর্ডের টিকা : অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির করোনা টিকা উৎপাদনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করেছে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’।

উৎপাদনের গতি বাড়াতে ভারতের টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা সিরাম ইন্সটিটিউটের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে অ্যাস্ট্রা জেনিকা। সে অনুযায়ী, ইতোমধ্যেই এই টিকা উৎপাদনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করেছে সিরাম ইন্সটিটিউট।

মঙ্গলবার সিরাম ইন্সটিটিউটের প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা আদর পুনাওয়ালা জানান, এটি উৎপাদনের জন্য ১০ কোটি ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে। খুব শিগগিরই উৎপাদন কাজ শুরু হবে। তবে চূড়ান্ত পর্বের হিউম্যান ট্রায়ালের ফল না পাওয়া পর্যন্ত সুরক্ষা ও কার্যকারিতার দিক বিবেচনায় এটি বাজারে ছাড়া হবে না।

মানবদেহে টিকা প্রয়োগ করবে জনসন: আগামী জুলাই মাসের মাঝামাঝি পরীক্ষামূলকভাবে মানুষের দেহে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করবে জনসন অ্যান্ড জনসন। এই সংস্থাটি ইতোমধ্যেই মার্কিন সরকারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর কার্যকারিতা প্রমাণ হওয়ার আগেই ২০২১ সালে যাতে ওই টিকার এক বিলিয়ন ডোজ উৎপাদন করা যায় সেই টার্গেট নিয়েছে সংস্থা। জনসন অ্যান্ড জনসনের সায়েন্টিফিক অফিসার পল স্টফেল জানিয়েছেন, প্রি-ক্লিনিক্যাল তথ্যের ভিত্তিতে তারা বিষয়টি দেখছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post