স্টাফ রিপোর্টারঃ করোনাভাইরাস, যার আনুষ্ঠানিক নাম কোভিড-১৯, এই রোগটিকে বিশ্ব মহামারি ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্বে এ রোগ দ্রুত ছড়াচ্ছে, আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে, প্রতিদিনই বিশ্বের নানা প্রান্তে মানুষের মারা যাবার খবর আসছে। সারাবিশ্বের মতো রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশেও। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে মহামারি করোনা যুদ্ধে প্রথমসারির যোদ্ধা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন ডাক্তার, নার্সসহ স্বাস্থ্য কর্মীরা। নিজেদের জীবনের মায়া ত্যাগ করে করোনা ভয়কে জয় করে তারাই দেশের মানুষের সেবায় প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। আবার অনেক করোনা যোদ্ধা ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী করোনা যুদ্ধ মোকাবেলায় নিজেদের জীবনটাই উৎসর্গ করে মৃত্যুকে বরণ করে নিয়েছেন।
কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ২৬ জুন (শুক্রবার) সকাল পর্যন্ত কুলাউড়া উপজেলায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৭৬ জন এবং এদের মধ্য থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩০ জন। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ২জন চিকিৎসক, একজন সিএইচসিপি ও একজন অফিস সহকারী আক্রান্ত হয়েছেন।
করোনাকালীন এই দুর্যোগময় সময়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ নূরুল হক। এমন সংকটকালে দিন-রাত উপজেলার পথে প্রান্তরে, গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ছুটে চলেছেন এই করোনা যোদ্ধা। প্রত্যেক করোনা রোগীকে নিজ থেকে খোজ খবর নিচ্ছেন, দিচ্ছেন প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও স্বাস্থ্যসেবা। উপজেলার মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন করতে নিয়েছেন নানারকম বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ।
অক্লান্ত পরিশ্রমে সততার সহিত কাজ করে যাওয়া শ্রদ্ধাভাজন এই প্রিয় চিকিৎসক করোনাকালে নিজেও রয়েছেন প্রচণ্ড স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। সেটা মাথায় নিয়ে একপ্রকার নিজেকে উৎসর্গ করেই অদম্য ইচ্ছাশক্তিতে সেবা দিচ্ছেন কুলাউড়াবাসীকে হৃদয়ে ধারণ করে সেই মন্ত্র- 'সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে মোরা পরের তরে।'
অক্লান্ত পরিশ্রমে সততার সহিত কাজ করে যাওয়া শ্রদ্ধাভাজন এই প্রিয় চিকিৎসক করোনাকালে নিজেও রয়েছেন প্রচণ্ড স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। সেটা মাথায় নিয়ে একপ্রকার নিজেকে উৎসর্গ করেই অদম্য ইচ্ছাশক্তিতে সেবা দিচ্ছেন কুলাউড়াবাসীকে হৃদয়ে ধারণ করে সেই মন্ত্র- 'সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে মোরা পরের তরে।'