অনলাইন ডেস্কঃ বিমানবন্দর ও টেকনাফ স্থলবন্দরে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি খোলা হয়েছে আইসোলেশন ইউনিট।
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প, উন্নয়ন প্রকল্প ও পর্যটন কেন্দ্রে প্রতিদিনই আসছেন বিপুল সংখ্যক বিদেশি নাগরিক। এ কারণে স্বাস্থ্য বিভাগসহ প্রশাসনের বিশেষ নজরদারিতে রয়েছে পর্যটন নগরী। পর্যবেক্ষণ বাড়ানো হয়েছে বিমানবন্দর, স্থলবন্দর, পর্যটনস্পট ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। রামু ও চকরিয়াতে প্রস্তত ১০০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট।
সমুদ্র সৈকতসহ কক্সবাজারে হাজারো পর্যটকের সরব উপস্থিতি। উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গার বসবাস। ক্যাম্পের কোথাও এক হাত জায়গা মিলবে না পরস্পর থেকে আলাদা থাকার। এছাড়া, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বিদেশিদের আনাগোনাতো আছেই।
চিকিৎকরা বলছেন, আতঙ্কের কিছু নেই, সচেতন হলেই করোনার বিস্তার রোধ সম্ভব।
এসিএফ চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক মোহাম্মদ মাহাদী বলেন, 'আমরা চেষ্টা করছি আমাদের বিদেশি স্টাফদের কক্সবাজারে ভ্রমণের বিষয়ে নিরুৎসাহিত করার। তবে, আমরা এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যগত বিষয়ে সচেতন করার।
কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, 'সর্দি-কাশি হতেই পারে, তবে তা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।' সবাই সচেতন থাকার পাশাপাশি যদি কোনরকম সমস্যা হয় তাহলে কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিসের হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন ডা. মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর।
বিমানবন্দর ও টেকনাফ স্থলবন্দরে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এছাড়া কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ও রামু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোলা হয়েছে ১০০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, 'বিমানবন্দর এবং স্থলবন্দর দুই জায়গাতেই কিভাবে স্ক্রিনিং ক্যাপাসিটি কিভাবে বাড়ানো যায় সে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। রামু হাসপাতালের নতুন একটি ভবন নির্মিত হয়েছে সে ভবনে এখনও উদ্বোধন হয়নি তাই সেটাকেই আমরা করোনা মোকাবিলায় প্রস্তুত করছি। চকরিয়াতেও এমন একটি ভবন ঠিক করে রাখা হয়েছে।'
কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, 'করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য যে পরীক্ষা সেটা কিন্তু শুধু ঢাকাতেই। তবে, স্ক্রিনিং করে যদি আমরা মনে করি যে তাদের পরীক্ষা করানো দরকার বা কোয়ারেন্টিন করে রাখতে হবে সেসব বিষয়ে পরামর্শ আমরা দিচ্ছি।'
পর্যটনকেন্দ্রের পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও নেয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা ও নজরদারি। করোনা প্রতিরোধে গঠন করা হয়েছে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মাল্টি-সেক্টরাল মনিটরিং কমিটি। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। -ডিবিসি নিউজ