করোনার বিস্তার রোধে সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ


অনলাইন ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকার সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয়সহ সকল প্রকার জনসমাগম সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

মসজিদ, ধর্মীয় বিভিন্ন স্থাপনা যেমন মন্দির এবং প্যাগোডা এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। তবে জ্বর, সর্দি এবং ফ্লুতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নির্দেশনা অনুসরণ করে ঘরে বসে নামাজ পড়তে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) করোনাভাইরাস নিয়ে করণীয় বিষয়ে এক ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এ নির্দেশনা তুলে ধরেন। 

এতে বলা হয়, ‘স্থানীয় প্রশাসনের গত একমাস বা ১৫ দিনের মধ্যে বিদেশ থেকে ফিরে আসা ব্যক্তিদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে এবং তাদের বাড়িতে এবং অন্যকোন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন (পৃথকীকরণ) নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে গত ৩ মাসে বিদেশ থেকে দেশে ফেরত আসা ব্যক্তিদের একটি তালিকা সরকার বিভিন্ন জেলাগুলোতে পাঠিয়েছে।’

এতে আরও বলা হয়, ‘প্রয়োজনে তিন মাস আগে বিদেশ থেকে দেশে ফেরত আসাদের চলাফেরা পর্যবেক্ষণ করার জন্যও স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সরকারের এই নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিচারের সম্মুখীন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

বিদেশ থেকে আগতদের প্রাথমিকভাবে যোগাযোগকারীদেরও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ থাকতে হবে উল্লেখ করে বলা হয়, ‘করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম যেন না বাড়ে সেজন্য নজরদারি করতে হবে। কেননা দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে।’

বৈঠকে ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটি, মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি এবং শিক্ষকদের সম্পৃক্ত করে প্রাণঘাতি এই ভাইরাস থেকে নিজেদের রক্ষায় আরও কি ব্যবস্থা নেয়া যায় সে সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার প্রচারণাও জোরদারের নির্দেশ দেয় হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং সচিববৃন্দ সচিবালয় থেকে এই ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।

বিভাগীয় কমিশনারগণ, জেলা প্রশাসকবৃন্দ, বিভিন্ন রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, পুলিশ সুপারবৃন্দও সরকারী কর্মকর্তারা নিজ নিজ কার্যালয় থেকে এই ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন।

Post a Comment

Previous Post Next Post