অনলাইন ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের প্রভাবে বহির্বিশ্বে চলাচল সীমিত বা বন্ধ হয়ে গেলে তার প্রভাব প্রবাসী আয়েও পড়বে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
বছরের প্রথম দুই মাসে রেমিট্যান্সের প্রবাহ কিছুটা কমলেও তাতে আশঙ্কার কিছু নেই বলে মনে করছেন ব্যাংকার ও জনশক্তি রপ্তানিকারকরা। তবে করোনাভাইরাসের প্রভাবে বহির্বিশ্বে চলাচল সীমিত বা বন্ধ হয়ে গেলে তার প্রভাব পড়বে প্রবাসী আয়েও।
বিশ্ব উদ্বিগ্ন করোনাভাইরাসের সংক্রমণে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। এরই মধ্যে দেশে বেড়াতে আসা প্রবাসী বাংলাদেশিরাও পড়েছেন বিপাকে, অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে কর্মক্ষেত্রে ফেরা। পুনরায় কর্মক্ষেত্রে ফিরতে ইচ্ছুক প্রবাসীরা জানান, বিদেশ ফেরত যেতে হলে স্বাস্থ্য পরীক্ষা সনদ লাগবে।
এদিকে, নতুন যারা বিদেশে যেতে চান তাদের ভিড়ও কমছে করোনা সংক্রমণের ভয়ে। এ অবস্থা দীর্ঘ মেয়াদে চললে প্রবাসী আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করেন জনশক্তি রপ্তানিকারকরা।
বায়রা'র সাবেক মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, 'করোনার কারণে এখন পর্যন্ত কোনো প্রভাব নেই। তবে যেকোনো মুহূর্তে প্রভাব পড়তে পারে। কারণ, সৌদি আরবসহ অন্যান্য যে কোনো দেশ যদি ফ্লাইট বন্ধ করে দেয় তাহলে কিছুই করার থাকবে না। জাতীয় অর্থনীতিতে এর একটা বিশাল প্রভাব পড়বে।'
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ১ হাজার ২শ' ৫০ কোটি মার্কিন ডলার। গেল দুই মাসে আয়ের প্রবাহ কিছুটা কমলেও তা গেল অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় বেশি। ব্যাংকাররা বলছেন, এখনো রেমিট্যান্স প্রবাহে করোনাভাইরাসের কোনো প্রভাব নেই।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের মুখপাত্র আবু রেজা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া বলেন, 'বেশি রেমিট্যান্স আসে সৌদি আরব এবং আবুধাবী থেকে এসব দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সাবধানতা অবলম্বন করেছে ঠিকই কিন্তু সেখানে সংক্রমণের হার খুব বেশি না। সে কারণে এখন পর্যন্ত রেমিট্যান্সের ওপর কোনো প্রভাব পড়েনি। আমাদের ব্যাংকের হিসাবে ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত রেমিট্যান্সের হার ১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে।'
তবে করোনাভাইরাসের প্রভাবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে অর্থনীতি বাধাগ্রস্ত হলে এবং বাংলাদেশি শ্রমিক রপ্তানি কমে গেলে তার প্রভাব পড়বে প্রবাস আয়ে।