কুলাউড়ায় দোকান কর্মচারীর লাশ উদ্ধার


বিশেষ প্রতিনিধিঃ কুলাউড়ায় ওমর ফারুক নামে এক দোকান কর্মচারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পৌর শহরের ২নং ওয়ার্ডের কুলাউড়া এলাকার একটি বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ওমর ফারুক (২৮)  ওই এলাকার আব্দুল মালেকের বড় ছেলে এবং সে দেড় বছর বয়সী এক পুত্র সন্তানের জনক। ফারুক শহরের মিলি প্লাজাস্থ ড্রিমস ফেব্রিক্সের সেলসম্যান হিসেবে কাজ করতেন। পৌর শহরের কুলাউড়া গ্রাম এলাকার হাজেরা ভিলার তৃতীয় তলায় পিতা-মাতা, স্ত্রী-সন্তান ও ছোট ভাইকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। ফারুক শনিবার বিকেলে আছরের নামাজ শেষে স্ত্রী আঁখি আক্তার ও পুত্রকে রুম থেকে বের করে দরজা লাগিয়ে দেন।

বেশ কিছুসময় দরজা না খোলায় স্ত্রী বাসায় থাকা ফারুকের ছোট ভাইকে ডাক দেন। তার ছোট ভাই ঘরের ভেন্টিলেটর দিয়ে দেখতে পান ফারুক রুমের ফ্যানের হুকের সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। এসময় তাদের পিতা আব্দুল মালেককে খবর দেন। স্থানীয় কাউন্সিলর কাওছার আরিফ ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশকে খবর দিলে ফারুকের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

ফারুকের স্ত্রী আঁখি আক্তার বলেন, ‘তিনি ত্রিশ হাজার টাকা ঋণগ্রস্ত ছিলেন। এই চিন্তায় হয়তো তিনি আত্মহত্যা করেছেন।’

ফারুকের পিতা আব্দুল মালেক বলেন, ‘আছরের নামাজ পড়তে মসজিদে ছিলাম আমি। এসময় ঘরে আমার ছোট ছেলে ও বড় ছেলে এবং তার বউ ছিলো। আমার স্ত্রী মেয়ের শশুড় বাড়িতে রয়েছেন। খবর পেয়ে বাসায় এসে দরজা ভেঙে ফারুকের গলায় ফাঁস দেওয়া লাশ নামিয়ে আনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সে ঋণগ্রস্ত ছিলো। কিন্তু সেই টাকা আমি শোধ করে দিয়েছি। কেন হঠাৎ সে এমন কাজ করলো কিছুই বুঝতে পারছিনা।’

কুলাউড়া থানার ওসি মো. ইয়ারদৌস হাসান বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।’

Post a Comment

Previous Post Next Post