ডা. মোজাম্মেলের মৃত্যুতে সংসদে শোক প্রস্তাব গ্রহণ


অনলাইন ডেস্কঃ বাগেরহাট-৪ আসন থেকে নির্বাচিত চলতি সংসদের সরকারদলীয় সদস্য ডা. মো. মোজাম্মেল হোসেনের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদে সর্বসম্মত শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। এর আগে প্রস্তাবটির উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকার ও বিরোধীদলীয় সদস্যরা বলেছেন, ডা. মোজাম্মেলের মৃত্যুতে দেশবাসী একজন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নিবেদিত প্রাণ রাজনীতিবিদকে হারাল।

সোমবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম ও শাহাজান খান, সমাজকল্যাণমন্ত্রী মো. নূরুজ্জামান আহমেদ, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সরকারদলীয় সদস্য আ ফ ম রুহুল হক, উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান এবং ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।

সংসদে গৃহীত শোক প্রস্তাবে জাতীয় সংসদের পক্ষ থেকে প্রয়াত মোজাম্মেল হোসেনের আত্মার শান্তি ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়। প্রস্তাব উত্থাপনের পর মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর চলতি সংসদের সদস্যের মৃত্যুতে রেওয়াজ অনুযায়ী সংসদের অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করেন স্পিকার। আলোচনায় অংশ নিয়ে শেখ ফজুলুল করিম সেলিম বলেন, মানুষের সঙ্গে তার ব্যবহার ছিল অমায়িক। তিনি মানুষের সেবা করে গেছেন। তিনি সমাজের জন্য কাজ করেছেন। তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন কিন্তু তার কর্ম আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকাকালে মোজাম্মেল হোসেন দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন। অসহায় মানুষকে তিনি যেভাবে সেবা করেছেন তার সেই জনেসেবা, মানবসেবা ভবিষ্যতের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, তার বাড়ি ছিল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের জন্য অবারিত। কোনো রোগীর টাকা না থকলে তার ওষুধ কেনার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতেন তিনি।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, তিনি একজন আপাদমস্তক রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি রাজনীতিবিদ হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। তিনি প্রসূতি মায়েদের বিনা পয়সায় চিকিৎসা করতেন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা কর্মসূচি বাস্তবায়নে তিনি দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন। তিনি চলে গেলেও তিনি যে অবদান রেখে গেছেন, তা আমাদের ভবিষ্যৎ পথ চলতে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post