অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নাটকীয় ম্যাচে ড্র করেছে বাংলাদেশ


স্পোর্টস ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নাটকীয় ম্যাচে ড্র করেছে বাংলাদেশ দল। শেষ দুই বলে দুই উইকেট তুলে নিয়ে আইসিসি অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ড্র করে বাংলাদেশের যুবারা।

বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৪৩ ওভারে ৬ উইকেটে ২৫০ রান সংগ্রহ করে।

বাংলাদেশের ২৫১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালোই করেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার লিয়াম স্কট ও স্যাম ফেনিং। উদ্বোধনী জুটিতে দুই ব্যাটসম্যান মিলে তোলেন ৬৬ রান। দলের প্রথম ব্রেক-থ্রুটি আসে রান আউটের মাধ্যমে। ৪৬ রান করে আউট হন ফেনিং। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতেও দলের হাল ধরেন স্কট ও অধিনায়ক ম্যাকেঞ্জি। ২১তম ওভারে স্কটকে ৩৪ রানে বিদায় করেন তানজিদ হাসান। তৃতীয় উইকেট পড়তেও বেশি দেরি হয়নি অজিদের। অজিদের অধিনায়ককে সাজঘরে ফেরান তানজিদ হাসান। দলীয় ১১৯ রানে অজিদের চার উইকেট পড়লে সেখান থেকে দলের হাল ধরেন দুই ব্যাটসম্যান প্যাট ব্রাউন ও ল্যাচলান। দলীয় ১৫৯ রানে ব্রাউনকে আউট করেন শহীদ। ৭ম উইকেট জুটিতে ৪৭ রান যোগ করেন ল্যাচলান ও কেলি। ২২ বলে ঝড়ো ৪৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হন কেলি। তার বিদায়ে ম্যাচ আবারো বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে আসে।

তবুও ম্যাচের হাল ছাড়েননি দুই ব্যাটসম্যান কনর ও তানভীর। দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন তারা।

তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ গোড়াপত্তন করেন ইনিংসের। কার্টেল ওভারের ম্যাচে প্রথম বল থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন তারা। তবে দলীয় ২৩৮ রানে ৮ম উইকেট পতনে ম্যাচ অনেকটাই বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। শেষ ওভারে ১০ রান প্রয়োজন হলে ওভারের দ্বিতীয় বলে ছয় হাঁকান সাঙ্গা। তবে শেষ দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচ ড্র করে বাংলাদেশ।

উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৭০ রান। ১৫তম ওভারের শেষ বলে তামিম আউট হলে ভাঙ্গে এ জুটি। ৩৮ বল খেলে ৫ চারে ৩২ রান করেন তামিম। তার বিদায়ের পর মাহমুদুল হাসান জয় যোগ দেন ক্রিজে।

তবে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি তিনি। ১৫ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন এ ব্যাটসম্যান। তার বিদায়ে দলীয় ৯০ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর হৃদয়কে সাথে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন পারভেজ।

দেখেশুনে খেলতে থাকা পারভেজ তুলে নেন অর্ধশতক। মাইলফলক স্পর্শের পর ব্যক্তিগত ৫২ রানে স্বেচ্ছায় মাঠ ছাড়েন। সতীর্থদের ব্যাট করার সুযোগ করে দিতে মাঠ ছাড়ার আগে ৮২ বল মোকাবেলায় এ রান করেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ৪ চারের পাশাপাশি ২ ছক্কা। এরপর হৃদয়ের সাথে ২২ গজে জুটি গড়েন দলনেতা আকবর আলি।

তবে এদিন দলকে ব্যাট হাতে বলার মতো তেমন কিছুই করতে পারেননি তিনি। ১২ রান করে অজিদের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। তার বিদায়ে দলীয় ১৪১ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

অধিনায়কের ফিরে যাওয়ার পর গুরু দায়িত্বে এসে পড়ে হৃদয় ও শামীমের কাঁধে। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দ্রুতগতিতে ৮১ রান যোগ করেন তারা। অর্ধশতক তুলে নেন উভয় ব্যাটসম্যান। ইনিংসের শেষদিকে এসে হৃদয় আউট হলে ভাঙ্গে এ উইকেট জুটি। আউট হওয়ার আগে সমান ৩ চার ও ছক্কায় ৫৫ রান করেন তিনি।

শেষদিকে শামীমের সাথে অভিষেক দাসের আকমণাত্বক ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ৪৩ ওভারে ৬ উইকেটে ২৫০ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। ৩৩ বল মোকাবেলায় ৫৯ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন শামীম। ৩ চার ও ৩ ছক্কায় এ রান করেন তিনি।

Post a Comment

Previous Post Next Post