কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একমাসে ৬৬ নরমাল ডেলিভারি


নিউজ ডেস্কঃ কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত অক্টোবর মাসে নরমাল ডেলিভারি মাধ্যমে ৬৬টি শি'শুর জন্ম দিয়ে নতুন মাইলফলক অর্জন করেছে। এটি ৫০ শয্যা উপজেলা এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন মাইলফলক। এ মাসে একদিনে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে ৭টি শি'শুর জন্মও প্রথম। এর আগে একই দিনে ৪ শিশু জন্মের রেকর্ড ছিলো এ হাসপাতালে। যারফলে সরকারী হাসপাতালের সেবায় সাধারণ মানুষের মাঝে বেশ ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, মাতৃ মৃ'ত্যু এবং শি'শু মৃ'ত্যুহার কমানোর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির কোন বিকল্প নেই, এমন লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের সে লক্ষ্যকে বাস্তবে রুপ দিতে কুলাউড়া উপজে'লা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডেলিভারির বিষয়ে বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে। তারই আলোকে চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে গড়ে ৫০টি নরমাল ডেলিভারি নিশ্চিত করে আসছে হাসপাতালের সংশ্লিষ্টরা। ডাক্তার, নার্স থেকে শুরু করে মাঠকর্মীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় গত অক্টোবর মাসে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে ৬৬টি শি'শুর জন্ম দিয়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে এ হাসপাতাল।
 

কর্তৃপক্ষ ছাড়াও স্থানীয়দের মতে, এটি হাসপাতালের নতুন মাইলফলক। আর এ মাইলফলক উপলক্ষে রোববার হাসপাতালের হলরুমে কেক কেটে আনন্দ ভাগাভাগি করা হয় কর্তব্যরতদের মধ্যে।

হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজার মনি দিপিকা দেব জানান, গত অক্টোবর মাসে হাসপাতালে মোট ৮৫ জন প্রসূতি রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। এর মধ্যে ৬৬টি জন প্রসূতির নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে শি'শুর জন্ম করাতে আম'রা সক্ষম হয়েছি। বিভিন্ন সমস্যার কারনে ৭জন প্রসূতিকে অন্যত্র স্থা'নান্তর করা হয়েছে এবং ১২ জন প্রসূতির এখনও সময় না হওয়ায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ওই মাসে একদিনে (১৬ অক্টোবর) নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে ৭টি নবজাতকের জন্ম করাতেও আম'রা সক্ষম হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ইউএইচএন্ডএফপিও স্যারের স্পস্ট নির্দেশ, যথক্ষন পর্যন্ত আমাদের পক্ষে সম্ভব এমন কোন রোগীকে যেন অন্যত্র না পাঠাই। উনার সঠিক কর্মপরিকল্পনা ও দিকনির্দেশনা মোতাবেক আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
 

কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্ম'দ নূরুল হক জানান, বর্তমান সরকারের ভিষন মাতৃমৃত্যু এবং শি'শু মৃ'ত্যুহার কমানোর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি। যার কোন বিকল্প নেই। সে ভিষন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করে আরও বলেন, আপনার পরিবার ও প্রতিবেশী গর্ভবতী মায়েদের নিরাপদ ডেলিভারি নিশ্চিত করতে কুলাউড়া উপজে'লা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। গর্ভকালীন যে কোন চেকআপের জন্য হাসপাতালের ৩২ নম্বর রুম সবসময় প্রস্তুত।

গত এক মাসের সফলতার বিষয়ে তিনি বলেন, সকলের সহযোগিতা পেলে আমরা এ ধারা অব্যাহত রাখতে পারব এবং গর্ভকালীন জটিলতায় মাতৃমৃ'ত্যু এবং শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে সক্ষম হব।

Post a Comment

Previous Post Next Post