সুলতান মনসুরের রাজনৈতিক উত্তরণ

পুরো নামঃ 
সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ।
জন্মঃ ১৯৫৫,
শিক্ষাঃ এম এ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

১৯৬৩ তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র থাকাকালীন পূর্ব পাকিস্থান ছাত্রলীগের মিছিলে যোগদান।

১৯৬৮ অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। পূর্ব পাকিস্থান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ৬৯’র  গণ অভ্যুত্থানের নায়ক আব্দুর রউফ, সিলেটের খ্যাতিমান ছাত্রলীগনেতা ইনামুল হক চৌধুরী ও মাকসুদ চৌধুরী প্রমুখের দ্বারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত।

১৯৬৯ মৌলভীবাজার জেলার সর্ববৃহৎ হাইস্কুল মৌলভীবাজার বহুমূখি উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত।

১৯৭০ আইয়ুব খানের ‘পাকিস্থান দেশ ও কৃষ্টি’ বই নবম শ্রেণীর পাঠ্য তালিকায় অন্তর্ভূক্তির প্রতিবাদে ঐতিহাসিক ছাত্র আন্দোলনে স্কুল ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক নির্বাচিত ।

১৯৭০ দশম শ্রেণীর ছাত্র থাকাকালীন প্রথমবারের মতো গঠিত মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক মনোনীত।

১৯৭০’র ঐতিহাসিক নির্বাচনে প্রচারণায় অংশ গ্রহন। নির্বাচনী প্রচারণার গংসংযোগের স্বাভাবিক কার্যক্রমে অংশগ্রহন ছাড়াও তাঁর দরাজ গলায় সুমধুর কন্ঠে মাইকিং, এনাউন্সমেন্ট ছিলো চমৎকার। এছাড়া তাঁর হাতের লেখা ছিলো  অত্যন্ত সুন্দর তাই পোষ্টার, ফেস্টুন লিখনীতে তিনি ছিলেন অনন্য। উল্লেখ্য, তখনকার সময়ে পোষ্টার, ফেস্টুন সাধারণত ব্যাপকাংশে হাতে লেখা হতো।

১৯৭১ ছাত্রনেতা হিসেবে ঐতিহাসিক  অসহযোগ আন্দোলনকে সংগঠিত করতে ব্যাপক অবদান অনস্বীকার্য ।

১৯৭১ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন।

১৯৭২ সিলেট এম সি ইন্টারমেডিয়েট কলেজে (বর্তমান সিলেট সরকারী কলেজ) ভর্তি। কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে সহ সভাপতি (ভিপি) পদে নির্বাচিত।

১৯৭২ সিলেট জেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক নিযুক্ত।

১৯৭৪  এম সি কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে সাধারণ সম্পাদক (জি এস) পদে অংশ গ্রহন। নানা কারণে পরবর্তীতে নির্বাচন হয়নি।

১৯৭৪ সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হন (১৯৭৪-৭৫)।

১৯৭৫ সিলেট মদন মোহন কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে সহ সভাপতি (ভিপি) পদে বিজয় অর্জন।

১৯৭৫ নবগঠিত জাতীয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য নির্বাচিত। জাতীয় ছাত্রলীগের সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত।

১৯৭৫  ১৫ই আগষ্ট সেনা অভ্যুত্থানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর সিলেটে অনুষ্টিত প্রতিবাদ মিছিলের অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা।

১৯৭৫ ৩রা নভেম্বর কারা প্রকোষ্টে জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর সিলেটে অনুষ্টিত প্রতিবাদ মিছিলের অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা।

১৯৭৫ ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ গ্রহনের লক্ষে ভারতের মাটিতে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীরোত্তম)'র নেতৃত্বে সংগঠিত প্রতিরোধ আন্দোলনে যোগদান। বিপ্লবী ‘জাতীয় মুক্তিবাহিনী’র তথ্য ও প্রচার সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডার নিযুক্ত। বাহিনীর ৩৬জন কমান্ডার ছিলেন।

১৯৭৯  চার বছর পর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি। দেশব্যাপী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পুনরুজ্জীবনে আত্ননিয়োগ।

১৯৮৪-১৯৮৬  বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান  নিযুক্ত।

১৯৮৬  বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত।

১৯৮৯ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ঢাকসু) ১৯৮৯-৯০ নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মনোনিত প্রার্থী হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সহ সভাপতি (ভিপি) পদে জয়লাভ।

১৯৮৯ তাঁর নেতৃত্বে নানা প্রতিকুলতাকে অগ্রাহ্য করে ১৯৭৫ পরবর্তী ঢাকসু ভবনে প্রথমবারের মতো জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি উত্তোলন।

১৯৮৯-৯০ দেশব্যাপী গর্জে উঠা স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী গণ আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির পূনর্জাগরণে ছাত্রসমাজকে নেতৃত্বদান।

১৯৯১ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে মৌলভীবাজার ২ (কুলাউড়া-কমলগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করে পরাজয় বরণ করেন। কিন্তু, ১৯৯৬সালের নির্বাচনে একই আসন থেকে এম পি নির্বাচিত হন। ২০০১সালে পুনরায় পরাজয় বরণ করেন।

২০০২ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত।

২০০৮ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ আসনে আওয়ামী লীগের তৃনমূল নেতাকর্মীদের প্রত্যক্ষ ভোটে সুলতান মনসুরের একক প্রার্থীতার সুপারিশ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে পাঠালেও অদৃশ্য কারণে তিনি দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হন। কিন্তু, তিনি দলের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে স্বতন্ত্র নির্বাচন করা থেকে বিরত থাকেন এবং দল সমর্থিত প্রার্থীর প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন। 

২০১৮ গণতন্ত্র, প্রত্যক্ষ ভোটাধিকার ও অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে নিজস্ব অবস্থান থেকে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় যোগদান ও পরবর্তীতে ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় ষ্টিয়ারিং কমিটির সদস্য নির্বাচিত।

২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে দ্বিতীয় বারেব মতো  এমপি নির্বাচিত হন।

২০১৯ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য পদে নির্বাচিত হন।

Post a Comment

Previous Post Next Post