আগামী বছর সরকারি ছুটি ২২ দিন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন


অনলাইন ডেস্কঃ আগামী বছরের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। সাধারণ ছুটি ও নির্বাহী আদেশের ছুটি মিলিয়ে আগামী বছর ছুটি ২২ দিন।

এর মধ্যে ৮ দিনই সাপ্তাহিক ছুটি (শুক্র ও শনিবার) থাকবে। তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে সোমবার তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ছুটির এ তালিকা অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠকে ১৯৭২ সালে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকের ৩ কপি কার্যবিবরণী প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেয়া হয়। এছাড়া ‘গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৯’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিসভার বৈঠকের এসব সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জাতীয় দিবস ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় দিবসে ১৪ দিন সাধারণ ছুটি থাকবে। সাধারণ ছুটির মধ্যে ৩ দিন সাপ্তাহিক ছুটির দিন (শুক্র ও শনিবার) পড়েছে।

এছাড়া বাংলা নববর্ষ ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় দিবসে ৮ দিন নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে। এর মধ্যে একদিন সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যে পড়েছে।

মুসলিমদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটি রাখা হয়েছে ৫ দিন, হিন্দু ধর্মের জন্য ঐচ্ছিক ছুটি রাখা রয়েছে ৮ দিন, খ্রিস্টানদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটি রাখা হয়েছে ৮ দিন, বৌদ্ধদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটি ৫ দিন।

শফিউল আলম বলেন, পার্বত্য এলাকার জন্য বিশেষ করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য ছুটি ২ দিন বিশেষ করে বৈশাখে বৈসাবি ও অন্য অনুষ্ঠানগুলো হয় সেজন্য।

১৯৭২ সালের মন্ত্রিসভা বৈঠকের কার্যবিবরণী গ্রহণ প্রধানমন্ত্রীর : ১৯৭২ সালে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকের ৩ কপি কার্যবিবরণী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম মন্ত্রিসভা বৈঠকের শুরুতে ’৭২ সালের বৈঠকগুলোর মূল ইংরেজি থেকে স্ক্যান করা ১টি কপি, এর নতুন ইংরেজি কপি এবং বাংলা অনুবাদ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সব কর্মকাণ্ডের চেক-লিস্টের একটি কপি প্রধানমন্ত্রীকে দেন।

আইসিটি বিভাগ প্রণীত কৌশলপত্রের একটি কপিও প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া হয়। আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ও এ বিভাগের সিনিয়র সচিব প্রণীত কপিটি প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

সব পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে গৃহীত কর্মপরিকল্পনার আলোকে এ কৌশলপত্র প্রণয়ন করা হয়। প্রতিমন্ত্রী ও সচিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ- অগ্রগতির ১০ বছর’ শীর্ষক একটি প্রকাশনাও প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post