নিউজ ডেস্কঃ দেশের জাতীয় মহাসড়কগুলো টোলের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, উন্নত দেশের মতো আমাদের দেশেও মহাসড়কে টোলের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
যেমন ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-রংপুর ও ঢাকা-ময়মনসিংহ- এসব মহাসড়কেই টোল আদায়ের কথা বলা হয়। টোলের টাকা রাখার জন্য একটি আলাদা অ্যাকাউন্ট করতে হবে।
সেই টাকা দিয়ে মহাসড়কগুলো সংস্কার করতে হবে। এ ছাড়া যশোর-খুলনা সড়কের কাজ অনেক দিন ধরে চললেও এখন পর্যন্ত শেষ না হওয়ায় বিরক্তি প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
যাতে কাজটি দ্রুত শেষ হয় সে দিকটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার নির্দেশ দেন তিনি। এ সময় প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান প্রধানমন্ত্রীকে।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনেতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এসব নির্দেশনা দেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
একনেক-পরবর্তী ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, ‘দেশের ২১টি মহাসড়কে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন’ প্রকল্প অনুমোদন দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব নির্দেশনা দিয়েছেন।
এত টাকা ব্যয় করে প্রকল্প বাস্তবায়নের পর লোড নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে যাতে নয়ছয় না হয় সে জন্যও নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, অনেক টাকা ব্যয় হলেও এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন আছে।
কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে কেউ যাতে টেম্পারিং করতে না পারে। এটা সময়ের দাবি। এমন সিস্টেম করতে হবে যাতে লোক থাকুক আর নাই থাকুক এর ওপর দিয়ে গেলেই গাড়ির নাম, নম্বর, ওজন এবং বিস্তারিত তথ্য উঠে যায়। এসব তথ্য যেন কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো একটি জায়গা থেকে মনিটরিং করা হয়।
এই কাজগুলো যেন অটোমেটিক ভাবে হয় তার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এ ছাড়া ট্রাক বা কাভার্ড ভ্যানগুলো যাতে নিদিষ্ট মাপের তুলনায় বেশি না হয়। সব যানবাহনের মাপ একটি নিদিষ্ট স্ট্যান্ডার্ডে হতে হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, যে কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের প্রয়োজনীয় জনবল যেন আগে থেকেই নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়, সে বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেছেন, নিয়োগ দেয়া জনবলের প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য কার্যক্রমের ব্যবস্থা প্রকল্পের মধ্যেই থাকতে হবে।
যাতে প্রকল্প শুরু হলে জনবলের কারণে বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত না হয়। এ ছাড়া অপর একটি প্রকল্প অনুমোদন দিতে গিয়ে তিনি বলেন, দেশের সব জেলখানায় ভার্চুয়াল কারাগার স্থাপন করতে হবে।
যাতে দুর্ধর্ষ আসামিদের জেল থেকে আদালতে টানাটানি করতে না হয়। যেসব আসামি ছিনতাই বা অন্য কোনো সমস্যা থাকতে পারে সেসব আসামিকে ক্যামেরার মাধ্যমে এজলাসে বসেই বিচারক বিচার করতে পারেন।
আলু রফতানির জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। উন্নত বীজ এনে আলুর মান বাড়াতে হবে। যাতে রফতানিতে কোনো বাধা না থাকে।
দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কত শিক্ষার্থী আছে তার একটি পরিসংখ্যান চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
পুরনো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যাতে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয় যে কত শিক্ষার্থী তারা ভর্তি করতে পারবে।
এ জন্য একটি নিতিমালা করতে হবে। প্রয়োজন হলে যেসব জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নেই সেসব জেলায় নতুন করে করতে হবে।
একনেকে ৬ হাজার কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন : দেশের ২১টি মহাসড়কে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র স্থাপন করা হচ্ছে।
এটিসহ ১০টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৬ হাজার ৩২৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৫ হাজার ৩২৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার তহবিল থেকে ৯৯৯ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
যেমন ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-রংপুর ও ঢাকা-ময়মনসিংহ- এসব মহাসড়কেই টোল আদায়ের কথা বলা হয়। টোলের টাকা রাখার জন্য একটি আলাদা অ্যাকাউন্ট করতে হবে।
সেই টাকা দিয়ে মহাসড়কগুলো সংস্কার করতে হবে। এ ছাড়া যশোর-খুলনা সড়কের কাজ অনেক দিন ধরে চললেও এখন পর্যন্ত শেষ না হওয়ায় বিরক্তি প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
যাতে কাজটি দ্রুত শেষ হয় সে দিকটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার নির্দেশ দেন তিনি। এ সময় প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান প্রধানমন্ত্রীকে।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনেতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এসব নির্দেশনা দেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
একনেক-পরবর্তী ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, ‘দেশের ২১টি মহাসড়কে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন’ প্রকল্প অনুমোদন দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব নির্দেশনা দিয়েছেন।
এত টাকা ব্যয় করে প্রকল্প বাস্তবায়নের পর লোড নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে যাতে নয়ছয় না হয় সে জন্যও নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, অনেক টাকা ব্যয় হলেও এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন আছে।
কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে কেউ যাতে টেম্পারিং করতে না পারে। এটা সময়ের দাবি। এমন সিস্টেম করতে হবে যাতে লোক থাকুক আর নাই থাকুক এর ওপর দিয়ে গেলেই গাড়ির নাম, নম্বর, ওজন এবং বিস্তারিত তথ্য উঠে যায়। এসব তথ্য যেন কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো একটি জায়গা থেকে মনিটরিং করা হয়।
এই কাজগুলো যেন অটোমেটিক ভাবে হয় তার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এ ছাড়া ট্রাক বা কাভার্ড ভ্যানগুলো যাতে নিদিষ্ট মাপের তুলনায় বেশি না হয়। সব যানবাহনের মাপ একটি নিদিষ্ট স্ট্যান্ডার্ডে হতে হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, যে কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের প্রয়োজনীয় জনবল যেন আগে থেকেই নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়, সে বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেছেন, নিয়োগ দেয়া জনবলের প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য কার্যক্রমের ব্যবস্থা প্রকল্পের মধ্যেই থাকতে হবে।
যাতে প্রকল্প শুরু হলে জনবলের কারণে বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত না হয়। এ ছাড়া অপর একটি প্রকল্প অনুমোদন দিতে গিয়ে তিনি বলেন, দেশের সব জেলখানায় ভার্চুয়াল কারাগার স্থাপন করতে হবে।
যাতে দুর্ধর্ষ আসামিদের জেল থেকে আদালতে টানাটানি করতে না হয়। যেসব আসামি ছিনতাই বা অন্য কোনো সমস্যা থাকতে পারে সেসব আসামিকে ক্যামেরার মাধ্যমে এজলাসে বসেই বিচারক বিচার করতে পারেন।
আলু রফতানির জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। উন্নত বীজ এনে আলুর মান বাড়াতে হবে। যাতে রফতানিতে কোনো বাধা না থাকে।
দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কত শিক্ষার্থী আছে তার একটি পরিসংখ্যান চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
পুরনো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যাতে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয় যে কত শিক্ষার্থী তারা ভর্তি করতে পারবে।
এ জন্য একটি নিতিমালা করতে হবে। প্রয়োজন হলে যেসব জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নেই সেসব জেলায় নতুন করে করতে হবে।
একনেকে ৬ হাজার কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন : দেশের ২১টি মহাসড়কে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র স্থাপন করা হচ্ছে।
এটিসহ ১০টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৬ হাজার ৩২৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৫ হাজার ৩২৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার তহবিল থেকে ৯৯৯ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।