রোহিঙ্গাদের উস্কানিমূলক ইন্ধনদাতাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা নেয়া হবে


নিউজ ডেস্কঃ রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই। তারপরও তারা কিভাবে মোবাইল ফোন পেলো এই প্রশ্ন তুলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবুল মোমেন।

এরপর মন্ত্রী বলেন, শুনেছি বিভিন্ন এনজিওরা এগুলো সাপ্লাই দিয়েছে। সেই সাথে বড়বড় বিলবোর্ড, দা কুড়াল বানিয়ে দিচ্ছে। এই এনজিওদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় সিলেটে একটি কমিউনিটি সেন্টারে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে নারী সমাবেশ ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত হওয়ার প্রাক্কালে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এমন প্রশ্ন করেন মন্ত্রী।

এসময় এননজিওদের কর্মকান্ড নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে সকল বেসরকারী সংস্থা শর্তের বাইরে গিয়ে রোহিঙ্গাদেরকে নানান ভাবে সহযোগীতার নামে উস্কানিমূলক ইন্ধন দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেবে সরকার।

মন্ত্রী আরো বলেন, বৃহস্পতিবার বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত দের ডেকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সর্বশেষ পরিস্থিতি জানানো হয়েছে কিন্তু মিয়ানমার সেখানে উপস্থিত হয়নি। এটি তাদের নিজস্ব বিষয় হলেও মূলত গত ২২ তারিখে প্রত্যবাসন পক্রিয়া বন্ধের আগেই তারা একটি প্রেস রিলিজ দিয়ে আমাদের দাষারূপ করেছে। এটি অত্যন্ত দুকখজনক।

প্রত্যাবসন ব্যর্থ হওয়ায় তারাই দাযী, আমরা আমাদের দায়দায়িত্ব খুব ভালোভাবে পালন করেছি। কিন্তু তারা রোহিঙ্গাদের কাছে বিশ্বাস অর্জন করতে পারনি।

মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদেরকে সেখানে নিয়ে পরিস্থিতি দেখাতে বলছি কিন্তু তারা তা করছে না। তারা কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে, এমনকি জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাগুলোকেও সেখানে যেতে দিচ্ছে না। আমরা বলছি পর্যবেক্ষণের ব্যাবস্থা করলে মিয়ানমারের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।

মায়ানমারের উদ্দেশ্যে ড. মোমেন বলেন, এটি তোমাদের সমস্যা। তোমরা তোমাদের লোকদের ফেরত নেয়ার বিষয়ে বিশ্বাস করাতে পারছ না। যেহেতু তারা একটি বাজে প্রেসরিলিজ দিয়েছিলো তাই পৃথিবীর সবগুলো দেশকে আমরা বলেছি মিয়ানমার যে তথ্য দিয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আর রোহিঙ্গাদের সমস্যা শুধু আমাদের একার সমস্যা নয়, এটি বিশ্ববা্সীর সমস্যা। তাই সবার এই বিষয়ে ভূমিকা রাখা উচিত।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদেরকে আমাদের দেশে থাকতে হলে আমাদের নিয়ম মেনে চলতে হবে। আমরা তাদের নিয়ন্ত্রনে রাখবো। ব্যত্যয় হলে শাস্তি পাবে।

মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লা কোন অপরাধ করলে শাস্তি পাবে। তবে তাদের মধ্যে একজন নেতা বের হয়ে এসছে এটি ভালো বিষয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে নগরীর হাফিজ কমপ্লেক্সে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন মন্ত্রীপত্নী সেলিনা মোমেন।

মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠান ইন্দন দিচ্ছে বলে আমরা কাছে খবর আছে। এ বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। যারা রোহিঙ্গাদের এসব কাজে সহযোগিতা করছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে, শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সিটি কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সিটি কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন তাজ, তওফিক বক্ত, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সালমা বাসিত, সাধারণ সম্পাদক নাজনীন হোসেন, মহানগর সাধারণ সম্পাদক আসমা কামরান, মারিয়াম চৌধুরী মাম্মী, সামসুননেহার মিনু বক্তব্য রাখেন। এ সময় সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, খাদিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আফসর আহমদসহ জেলা ও মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মন্ত্রী সিলেট সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি জানান, সরকারের পক্ষ থেকে সিলেটের উন্নয়ন নিয়ে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। করেছিলেন। এর মধ্যে অন্যতম ছিল সিলেটের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন। এর অংশ হিসেবে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর সিলেটের ৬০টি স্কুলের নতুন ভবনের কাজ শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুজাত আলী রফিক, বন ও পরিবেশ বিষয়স সম্পাদক জগদীশ চন্দ্র দাস প্রমুখ।

Post a Comment

Previous Post Next Post